বাঞ্ছারামপুর ইউএনও নারী দিবসে এক অসহায় নারীর পাশে দাঁড়ালেন
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বামী থাকেন প্রবাসে। অনেকটাই অসহায় স্বামীর পরিবারের লোকজনের কাছে। কাগজ আর কলমের গেঁড়াপেচে স্বামীর পিতৃ বসত ভিটিটুকু যতটুকু আছে তা আবার হাতছাড়া হওয়ার মত । একজন নারীর স্বামীর বাড়িতে যতটুকু যৌক্তিক অধিকার থাকার কথা তাঁর পুরোটা থেকে বঞ্চিত এই প্রবাসীর স্ত্রী। আর এই ঘটনার বাস্তব নাটকের স্হান হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে।
স্বামীর বড় ভাই মানে বাসুর সে নাকি তাদের বাবার কাছ থেকে বসতভিটাটুকু অন্য ভাইদের বাদ দিয়ে নিজের নামে একক ভাবে দলিল করিয়ে নিয়েছেন। এখন বাবার মৃত্যুর পর পিতৃভিটা দলিল মূলে একক ভাবে ভোগদখল করার জন্য প্রবাসীর অসহায় স্ত্রীকে উচ্ছেদের জন্য যতরকম কৌশল আছে তাই নিয়ে আদাজল খেয়ে নেমেছেন।
তাই আজ আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে উপলক্ষে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম দাঁড়ালেন এই অসহায় নারী মানে প্রবাসীর স্ত্রীর পাশে। তিনি বৃহস্হপতিবার বিকালে গেলেন সমস্যা সমাধানের জন্য। সাথে নিয়ে যান (ওসি) নিজাম উদ্দিন ও মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান জলি আমিরকে। বাসুর কে ডেকে এনে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করেন। তাদেরকে মিলেমিশে চলতে বলেন। আর সকল কৌশল ভুলে মিলেমিশে থাকতে বলেন। তখন বাসুর তাঁর বিগত দিনের সকল অপকৌশল ভুলে আজ থেকে মিলেমিশে থাকার নিশ্চয়তা দেন ইউএনও মহোদয়কে। আর এই বিষয়টি আজ নারী দিবসে সমস্ত উপজেলায় বেশ আলোচনায় আসে। অনেকেই (ইউএনও) শরিফুল ইসলামের মহতী কাজের প্রশংসা করেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.নুরুল ইসলাম,ওসি মো.নিজামউদ্দিন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আমীরকে সাথে নিয়ে সরাসরি চলে যাই অসহায় ঐ নারী বাড়িতে।ভাসুরকে বুঝিয়ে বলি তাঁর ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়। তখন সে আমার কাছে আশস্ব করেন তাঁরা এখন থেকে মিলেমিশে থাকবেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভানেত্রী মিসেস জলি আমির বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় নির্যাতিত নারীর অধিকার আদায়ে সহায়তা করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।