আখাউড়ায় নারীরাই সামলাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা
আখাউড়া প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রাথমিক শিক্ষার গুরুদ্বায়িত্ব সামলাচ্ছেন নারীরা। উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারী। মোট শিক্ষকের অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষক নারীরাই।
দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে পাঠদান করে শিক্ষাদানের গুরুদায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন নারীরা। সারাদিন পরিশ্রম করেও তাদেও কোন ক্লান্তি নেই। বরং পুরুষ শিক্ষকের সাথে পাল্লা দিয়ে সমান তালে দায়িত্ব পালছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আখাউড়া উপজেলায় ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫৪ শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত আছেন। এরমধ্যে প্রায় ২শ শিক্ষক নারী। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক পদেও নারীরাই এগিয়ে। ৫৪জন প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ২১ জন নারী এবং ১৭ জন পুুরুষ। ১২টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরশহরের তারাগন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ ৭জনই নারী। একজন পুরুষ। শিক্ষিকারা আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিন বলেন, শিক্ষকতা পেশা তাঁর ভালো লাগে। চাকুরী করায় স্বামীর পরিবারের সবাই তাকে আলাদা গুরুত্ব দেন। নারী দিবস সম্পর্কে তিনি বলেন নারীরা এখন ৩৬৫ দিনই গুরুত্বপূর্ণ। নারী ছাড়া কোনো কিছুই চিন্তা করা যায় না।
নারী দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমি আক্তার বলেন, নারীদের মর্যাদার জন্যই নারী দিবস।
তিনি বলেন, নারীদের সম্পর্কে এখন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নারী বলে কেউ আর অবজ্ঞা করে না। নারীদের ক্ষেত্রে সকলেই সহযোগিতার মনোভাব পোষন করে। নারী হলেও আমরা দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
আখাউড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল আলীম রানা বলেন, নারীরা সকল ক্ষেত্রেই এখন এগিয়ে এসেছে। তাঁরা সঠিক ভাবেই দায়িত্ব পালন করছে।