আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ইতোমধ্যে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছে ভারতীয় দল। বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো আহত ভারতকে আরেকটা ধাক্কা দেওয়া এবং টুর্নামেন্টে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করা।
ক্রিকেটের জন্য সময়টা এমনিতেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে হার, টেস্ট পরাজয় এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের হার একটু মনোবল কমিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটারদের। এর সাথে যোগ হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের টানা খারাপ খেলা।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র একটি জয় পেয়েছে। সেটাও এসেছে গতবছর এপ্রিলে এই শ্রীলঙ্কায় স্বাগতিক দলের বিপক্ষে। ফলে আজ বাংলাদেশকে নিজেদের রেকর্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে। তার ওপর প্রতিপক্ষ ভারত আবার টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা দল।
যদিও ভারতের এই দলটা তাদের দ্বিতীয় সারির দল। তাদের এই দলে অধিনায়ক বিরাট কোহলি, সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিসহ সেরা ৫ ক্রিকেটার নেই। তারপরও দলটি ঠাসা আইপিএলের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তরুণ তারকাদের নিয়ে। তবে ভারত এই টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে অন্তত নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি। বড় স্কোর করেও হেরেছে তারা শ্রীলঙ্কার কাছে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেছেন, তারা ভারতকে নিয়ে ভাবছেন না। তারা নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়েই ভাবিত। রিয়াদ বলেছেন, তিনি জানেন যে, দল একটা খারাপ সময় অতিক্রম করছে। এই খারাপ সময়টাকে এই শ্রীলঙ্কাতেই শেষ করে দিয়ে আসতে চান তিনি।
বাংলাদেশ দল আগের সিরিজেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলো। সেই তরুণ ক্রিকেটারদের তিনজনই দলে নেই। দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞরা। আজ বাংলাদেশ ব্যাটিংটাতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে একাদশ করতে পারে।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম সবসময়ই ব্যাটসম্যানদের সহায়তা করে থাকে। এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ দল আশা করছে, আজও সেরকম উইকেটই হবে। ফলে রান বন্যার প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত।