বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু আগামীকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেতুটি চালু হলে সিলেট-চট্টগ্রামসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী।সূত্র : সময় টিভি।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ও এফকনস যৌথভাবে পুরনো রেলসেতুর দক্ষিণ পাশে দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুন মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয় চলতি বছরের জুন মাসে। উদ্বোধনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করায় দারুণ খুশি ভৈরব ও আশুগঞ্জবাসী।
এলাকাবাসী বলেন, আগে একটা ট্রেনের জন্য আরেকটা ট্রেনকে দাঁড়াতে হত, এখন আর সে সমস্যা থাকবে না। এতে আমাদের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে খুব সুবিধা হবে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমদ বলেন, সেতু উদ্বোধন হলে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন হবে তেমনি যাত্রী পরিবহনেও কমবে ভোগান্তি।
ভৈরবের উপজেলা চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, দুইটি লাইন হওয়ায় এখন ট্রেনগুলোকে আর অপেক্ষা করতে হবে না। এতে অনেকটা সময় বেঁচে যাবে।
সেতুটি চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াতের সময় সীমা অনেকাংশে কমে আসবে। পাশাপাশি অধিক লোড নিয়ে দ্রুত গতির ট্রেন চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়ে সেতুর প্রধান প্রকৌশলী নারায়ণ ঝাঁ বলেন, এখান দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতে পারবে। সুতরাং যাত্রীদের সময় অনেক বেঁচে যাবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়ে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, এ সেতু অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এতে যাত্রীদের সময় অনেকটা বাঁচবে এবং প্রসারিত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য।
মোট ১২টি পিলারের উপর নির্মিত এক দশমিক দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং সাত মিটার প্রস্থের সেতুটিতে ব্যয় হয়েছে ৫শ’ ৬৭ কোটি টাকা।