g বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০১৭ ইং ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন

AmaderBrahmanbaria.COM
নভেম্বর ১৫, ২০১৭
news-image

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ের দাবিতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামে দুবাই প্রবাসী প্রেমিক সোহেল মিয়ার বাড়িতে অনশন করছেন এক স্কুলছাত্রী (১৬)। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ওই বাড়িতে অনশন শুরু করেন তিনি।

অনশনকারী প্রেমিকা ওই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কীর্তিনগর গ্রামের মেয়ে এবং চন্দ্রপুর ইউনিয়নের রায়পুর আব্দুল খালেক তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

জানা গেছে, সাড়ে তিন বছর আগে সোহেল যখন দুবাই থেকে ছুটিতে বাড়ি আসে তখন তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর সোহেল দুবাই চলে যাওয়ার পরও তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বজায় থাকে। এই সাড়ে তিন বছরের সম্পর্কের মধ্যে দু’বার ছুটিতে দেশে এসে সোহেল এই প্রেমিকাকে স্বর্ণের আংটি, মোবাইল ফোনসহ দামি জিনিসপত্র উপহার দিয়েছেন। এছাড়া তার লেখাপড়াসহ যাবতীয় খরচ বহন করছে সোহেল।

কিছুদিন আগে সোহেল দুবাই থেকে দেশে এলে পরিবার অন্য মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে। দুপুরে মেয়ে পক্ষ থেকে সোহেলের বাড়িতে লোকজন এলে ঠিক সেই মুহূর্তে ওই প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সোহেলের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

ওই প্রেমিকা বলেন, আমাদের সাড়ে তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এই সাড়ে তিন বছরে আমাদের সম্পর্ক অনেক দূর গড়িয়েছে। আমার পরিবার আমাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সোহেল বিয়ে দিতে দেয়নি। পড়ালেখার খরচসহ আমার যাবতীয় খরচ সে বহন করতো। সোহেল এখনও আমাকে ভালোবাসে। সোমবার রাত পর্যন্ত সে আমার সঙ্গে কথা বলেছে। ও আমাকে বলেছে তার পরিবার তাকে জোর করে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছে। তার বিয়ের খবর শুনে আমি বাড়ি ছেড়ে তার বাড়িতে চলে এসেছি। এখন আমার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। পরিবারও আমাকে বাড়িতে জায়গা দেবে না। তাই সোহেল যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে এ বাড়িতেই আমার মরণ হবে।

সোহেল তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। আমি তার লেখাপড়াসহ যাবতীয় খরচ বহন করেছি। কিন্তু পরে জানতে পারি ওই মেয়ের সঙ্গে একাধিক ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। তাই তাকে বিয়ে করা সম্ভব না।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে এখনও আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। মেয়ে আমাদের কাছে আইনি সহায়তা চাইলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

এ জাতীয় আরও খবর