g ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন বঙ্গবন্ধুও’ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০১৭ ইং ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন বঙ্গবন্ধুও’

AmaderBrahmanbaria.COM
নভেম্বর ১৫, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনী অবদানের কথা স্মরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা আমরা সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পুলিশকে সবসময় শ্রদ্ধা করেছেন।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এক ১৪৫ জন পুলিশ নিহত হন। প্রথম পর্যায়ে ৪৪ জন প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধাকে, দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ ৩৪ জন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে আর্থিক অনুদান ও সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।

নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা স্মারক ও পাঁচ লাখ টাকার চেক এবং জীবিত প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক ও চার লাখ টাকার চেক দেয়া হয়। আজ মোট এক কোটি ৪১ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান দেয়া হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চের সেই ভাষণটি মুক্তিযুদ্ধের জন্য আমাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করেছিল। সেই ভাষণটি ইউস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে।’

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যারা শাহাদত বরণ করেছিলেন আজকে আমরা তাদের স্মরণ করছি। মুক্তিযদ্ধের প্রথম প্রহরে পাক হানাদাররা রাতে প্রথম পুলিশের উপরে আক্রমণ করেছিল।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেই ২৫ মার্চ রাতের কথা যদি মনে করি তেজগাঁও থানার ওসি অনেক চেষ্টা করেছিলেন সবাইকে সরিয়ে দিতে, কিন্তু পারেননি। প্রথম গুলিটি ফার্মগেট থেকে সেই বীর পুলিশ সদস্যরাই ছুড়েছিল। আমরা তখন দেখলাম মেশিনগানে গুলি কাকে বলে, ব্রাশফায়ার কাকে বলে। ওই সময়ে আমাদের আওয়ামী লীগের সভাপতির বড়ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০১১ সালে বাংলাদেশ পুলিশকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। আমরা প্রথম পর্যায়ে ৪৪ জনকে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৪ জনকে পুরস্কৃত করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সেই বীরদের সম্মানে সরকার সবসময় সচেষ্ট থাকবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের পরিচালক আবিদা সুলতানা। বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধা উপপরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অরুপ চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকার নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফসহ বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।