দুই সুখবর দিয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের
---
স্পোর্টস ডেস্ক : ৮ বলের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মরনে মরকেল। ভাগ্যিস, মরকেলের নো বলের ভূতটা ভর করল। ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো জীবন ফিরে পেলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ অধিনায়ক ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। তবে আসল সুখবর অন্যভাবে এসেছে বাংলাদেশের জন্য। যে মরকেলের বল খেলতেই পারছিল না বাংলাদেশে, চোটের কারণে আগামীকাল শেষ দিনে তাঁর বোলিং করা অনিশ্চিত। স্বস্তি হয়ে এসেছে বৃষ্টিও। বৃষ্টির কারণে প্রায় ৩০ ওভার, মানে একটি সেশন হতেই পারেনি।
৪৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করা বাংলাদেশের জন্য টেস্ট ড্র করতে আগামীকাল তিনটা সেশন পার করে দিতে হবে। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দিনে ৩৭৫ রান যোগ করার কল্পনাবিলাসের সুযোগই নেই। বৃষ্টি আরেকটু হাত বাড়িয়ে দিলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টেস্ট ড্রয়ের গৌরব সঙ্গী হতেই পারে মুশফিকুর রহিমের দলের।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ২৪৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২৪ রানের, টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে এত রান করে কেউ জেতেনি এখনো।
সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে কাঁপতে শুরু করে বাংলাদেশ। মরকেলের জোড়া আঘাত প্রথম ওভারেই। তামিম ইকবাল ফিরেছেন ইনিংসের চতুর্থ বলে, দুই বল পর মুমিনুলও! রানের ঘর ফাঁকা থাকতেই দুই উইকেটের পতন। মুমিনুল অবশ্য রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন। নেননি। তবে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়েছে মরকেলের পরের ওভারে। বোল্ড হয়ে গেলেও নো বল হওয়া বেঁচে গেছেন মুশফিক। অধিনায়কের কাছে বড় একটি ইনিংস তাই পাওনা হয়ে গেল।
তবে উইকেটের ঘরে ৩ দেখাচ্ছে ইমরুল কায়েসের (৩২) সৌজন্যে। তাঁকে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দী করেন কেশব মহারাজ। ইমরুল ফেরার পর চা বিরতিতে যায় দুই দল। এর পর আর খেলাই হয়নি বৃষ্টির কারণে।
এই টেস্টে এখন পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা মুমিনুল দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়েও নায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ উইকেটে ফাফ ডু প্লেসি ও টেম্বা বাভুমার ১৪২ রানের জুটি ভাঙেন মুমিনুল। প্রোটিয়া অধিনায়ক ডু প্লেসিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। এরপর বাভুমাকেও লিটন দাসের ক্যাচ বানান। এরপর ৫ রানের মধ্যে কুইন্টন ডি কককেও স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল।
২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁ হাতি এ স্পিনার। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সব ফরম্যাট মিলিয়ে এটাই সেরা বোলিং ফিগার। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা এটি। দুবার ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। মুমিনুলের ৩ উইকেট শুধু সাকিব নয়, একজন বাঁহাতি স্পিনারের অভাবটাও বোঝাল।