শেষ সময়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৃৎ শিল্পীরা
---
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আর কিছুদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৃৎ শিল্পীরা। সময় যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই বাড়ছে মৃৎ শিল্পীদের ব্যস্ততা। ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী পূজা। তখন প্রতিটি মন্ডপেই বেজে ওঠবে ঢাক-ঢোল আর কাঁসার শব্দ। পাঁচদিনের উৎসব শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে ঘটবে উৎসবের সমাপ্তি। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ বছর জেলার নয়টি উপজেলা ও চারটি পৌরসভা এলাকার মোট ৫২৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নাসিরনগর উপজেলায় ১৩৭টি, নবীনগরে ১০০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ৭০টি, বিজয়নগরে ৫৮টি, সরাইলে ৪৭টি, কসবায় ৪২টি, আখাউড়ায় ১৭টি, আশুগঞ্জে ১৫টি ও বাঞ্ছারামপুরে ৩৮টি মন্ডপ রয়েছে। সরেজমিনে শহরের কালী মন্দির, মহাদেবপট্টি মন্দির, কালভৈরব মন্দির, দক্ষিণ কালীবাড়ি মন্দির ও মেড্ডা রায়সাহেব বাড়ির মন্ডপ তৈরির আখড়ায় গিয়ে দেখা যায়, মৃৎ শিল্পীরা ইতোমধ্যে কাদা মাটি দিয়ে মূল কাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন। এখন বাকি রং তুলির ছোঁয়ায় প্রতিমার রূপ ফুটিয়ে তোলার মূল কাজ। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন মন্দিরে সাজ সজ্জার কাজও শুরু করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় পূর্ব মেড্ডা এলাকার কালভৈরব মন্দিরের মৃৎ শিল্পী হরিপদ পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, পূজা শুরু হওয়ার দেড় মাস আগে থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ বছর তিনি ছয়টি প্রতিমার তৈরির অর্ডার পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, এখন আমরা প্রতিমার গায়ে প্রলেপ দেয়া শুরু করবো। পূজা শুরুর চারদিন আগ পর্যন্ত রং তুলির কাজ করা হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সোমেশ রঞ্জন রায় জানান, এ বছর কয়েকটি উপজেলায় পূজা মন্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য মন্দিরগুলোতে প্যান্ডেল তৈরি করাসহ বিভিন্ন কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান (পিপিএম বার) বলেন, প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ ও আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপগুলিতে র্যাব, বিজিবি এবং পুলিশের টহল টিম থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি মন্ডপের কমিটিকে আমরা অনুরোধ করেছি। সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।