g মুসলিম যুবকের প্রেমে ব্যর্থ হয়েই সু চি ইসলামবিরোধী! | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ৯ই আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মুসলিম যুবকের প্রেমে ব্যর্থ হয়েই সু চি ইসলামবিরোধী!

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তারেক হায়দার নামে এক পাকিস্তানি মুসলিম যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি। নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে তাকে বিয়ে করতে উন্মুখ হয়েছিলেন। কিন্তু তারেক প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সু চিকে।

১৯৬৪ সালের ওই ঘটনাই বদলে দেয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সু চির জীবনকে। অনেকদিন শোকে বিমর্ষ হয়ে ভেঙে পড়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার ফলাফলও ভালো করতে পারেননি। সেই সময় থেকেই নাকি সু চি ধীরে ধীরে মুসলিমবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন।

সু চির সেই মুসলিমবিদ্বেষের চূড়ান্ত পরিণতি আজকের রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন ও নিপীড়ন। সু চির জীবনীকার বিখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক পিটার পপহ্যামও এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।

সু চির জীবনীগ্রন্থ ‘দ্য লেডি অ্যান্ড পিক’–এ পপহ্যাম লিখেছেন, সু চির ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই জটিলতায় পূর্ণ ও বৈপরীত্যে ভরা। তাই রোহিঙ্গা নির্যাতনের পিছনে সু চির ব্যর্থ প্রেমের কাহিনীকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই।

১৯৬৪ সালের আগে ইংরেজি ও পরিবেশবিদ্যা নিয়ে পড়ার ইচ্ছায় অক্সফোর্ডে এসেছিলেন সু চি। কিন্তু সুযোগ পাননি। অবশেষে ভর্তি হয়েছিলেন দর্শনে। সেখানে তার সঙ্গে আলাপ হয় পাকিস্তানের কূটনীতিক তারেক হায়দারের সঙ্গে। যিনি বিশেষ অনুমতি নিয়ে অক্সফোর্ডে পড়তে এসেছিলেন। যেহেতু সু চির মা-ও ছিলেন একজন কূটনীতিক, তাই একই পেশার হওয়ায় তারেকের প্রেমে পড়তে বেশি সময় লাগেনি সু চির।

সু চির জীবনীকার পপহ্যামের ভাষ্য, সংস্কৃতিগতভাবে অনেক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সু চি ও তারেক গভীর প্রেমে পড়েছিলেন। ১৯৬৫ সালে ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তারেককে খুশি করতে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলা পর্যন্ত বন্ধ করেছিলেন সু চি। প্রেমে এতোটাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন যে, তৃতীয় বিভাগে কোনো রকমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছিল সু চিকে।

এদিকে, অক্সফোর্ডের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরই পাকিস্তানে ফিরে যান তারেক। সু চি চেয়েছিলেন তারেক তাকে বিয়ে করে নিজ দেশে নিয়ে যাক। কিন্তু তারেক তা চাননি। একাই ফিরে যান নিজ দেশে। এ ঘটনায় শোকে কষ্টে ভেঙে পড়েন সু চি। সেই শোকই এক সময় জ্বলে ওঠে ক্ষোভ হয়ে। মুসলিম যুবকদের বিশ্বাসঘাতক আর প্রতারক হিসেবে ভাবতে থাকেন। এক পর্যায়ে মুসলিমবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন।

 

পপহ্যাম আরো জানিয়েছেন, ‘প্রায় বছর খানেক ধরে ‌সু চি বিরহে বিমর্ষ থাকেন। সেই নাজুক পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডে সু চির পুরনো পারিবারিক বন্ধু স্যার পল গর বুথ ও মিসেস বুথের ছেলে ক্রিস্টোফার এগিয়ে আসেন। পরিচয় করিয়ে দেন মাইকেল অ্যারিস নামে সহৃদয় যুবকের সঙ্গে। ১৯৭২ সালে সেই অ্যারিসের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সু চি।

এ জাতীয় আরও খবর