সরকারের দুর্বল কূটনৈতিক তৎপরতায় রোহিঙ্গা সংকট শোচনীয় : খালেদা জিয়া
---
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেছেন, সরকারের দুর্বল কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই রোহিঙ্গা পরিস্থিতি শোচনীয় রুপ ধারণ করেছে।
তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ গ্রহণেরও আহ্বান জানান।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় অসংখ্য মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বসতবাড়ি, সহায় সম্বল হারিয়ে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সীমান্তগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। রাখাইন রাজ্যে গ্রামের পর গ্রামে আগুন জ্বলছে। প্রাণভয়ে রোহিঙ্গারা দিকবিদিক ছুটে বেড়াচ্ছে, গহীন অরণ্যে ঢুকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করছে। আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের ওপরও মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী অবিরাম গুলিবর্ষণ করে যে নারকীয় পরিবেশ তৈরি করেছে তা বর্ণনাতীত। এই দৃশ্য অমানবিক, বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক।’
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নিবিড় সম্পর্কে কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি-সমমর্যাদার এই ঐতিহ্যকে সম্মান দেখিয়ে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গারা সমাধানহীন একটি অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে নিপতিত থাকলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ক্রমাগতভাবে অবনতিশীল হতে থাকবে এবং এতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ঐতিহ্যগত স্থিতিশীলতায় বিরুপ প্রভাব ফেলবে।’
মিয়ানমার সরকারকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হয়ে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে যেকোনো সংকট আরও ঘনীভূত হয়।’
‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-রোহিঙ্গাদের জীবন ও বসবাসের নিরাপত্তা বিধান এবং তাদের ওপর রক্তাক্ত সহিংসতার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকার প্রাজ্ঞ ও দুরদর্শী নীতি নিয়ে অগ্রসর হবে।’
জীবন ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা পুরুষ-নারী-শিশুদের বাংলাদেশে আশ্রয় এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেয়ার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।