বাঞ্ছারামপুরে হতদরিদ্র অটোচালকের হাত-পা ভেঙ্গে দিলো এক সন্ত্রাসী
---
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নে ৫ বছর আগের পূর্ব শক্রতার কারনে আজ (বুধবার) বিকেলে এক অটোবাইকের চালক জাহাঙ্গীর আলমের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে আবদুর রহমান নামে এক সন্ত্রাসী।
সরেজমিনে বাঞ্ছারামপুর সদর সরকারি হাসপাতালে যেয়ে জানা যায়,২০১২সালে ‘সোনারামপুর বনাম দরিয়াদৌলত’-এই দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।সেই সংঘর্ষে দরিয়াদৌলত গ্রামের এক ব্যক্তি মারা যায়।আর -সেই জের ধরে ৫ বছর পর আজ অতীব দরিদ্র ১ মাস আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কেনা নতুন অটোবাইকে যাত্রী নিয়ে যাবার সময় আবদুর রহমান গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে।এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলমের হাত ও পা দুটোই ভেঙ্গে যায়।মারধোরের পর,অটোবাইকের চাবি নিয়ে বীরদর্পে হেটে চলে যায়,সন্ত্রাসী রহমান।
খোজ ও কথা বলে জানা গেছে, ৫ বছর আগের দুই গ্রামের সেই সংঘর্ষে আলোচ্য জাহাঙ্গীর সংঘর্ষের সময় বাঞ্ছারামপুর উপজেলাতেই ছিলেন না।
মারধোরের ঘটনাস্থল দরিয়াদৌলতের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.রিপন মুঠোফোনে জানান,-‘বিষয়টি নিয়ে আমি অবহিত নই।ঘটনা সত্য হলে উপযুক্ত বিচারের চেষ্টা করবো।’
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার পুলিশের উপপরিদর্শক মো.শাহ আলম বলেন,-‘বিষয়টি নিয়ে কোন মামলা থানায় হয়নি’।
হতদরিদ্র ও নিরীহ প্রকৃতির জাহাঙ্গীর আলমের (৩৫) মা ও ভাই জানায়,এক মাস আগে আমার বাবা,মা ও বোনকেও এই আবদুর রহমান মারধোর করে।আমাদের একমাত্র অপরাধ আমাদের বসতভিটা সোনারামপুুর গ্রামে। জাহাঙ্গীর বৃদ্ধা,অনাহারী মা সরকারি হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের স্যাঁতসেঁতে মেঁেঝতে বসে হাউ-মাউ করে কেঁদে কেঁদে জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদকের মাধ্যমে আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্ন করেন,-“আমরা গরীব বইল্ল্যা,আমরা রাজনীতি করি না বইল্ল্যা-ই আজ আমার ছেলেডারে রহমাইন্ন্যা হাত-পাও ভাইঙ্গা দেওয়ার সাহস পাইছে।কই যারা পার্টি করে তাদের হাত-পাও তো দরিয়াদৌলতের বেবাকতে(সবাই) সালাম করে।আমরা গরীব বইল্ল্যা কী মামলা করা,বিচার পামু না ?”