বৈশ্বিক বন্যা পরিস্থিতি প্রতিবেদন : ২০০ বছরের ইতিহাসে ব্রহ্মপুত্রে বন্যার মাত্রা ভয়াবহ হতে পারে
---
মোস্তফা কামাল পলাশঃ “জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় (ইউএনআরসিও) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ গবেষণাকেন্দ্র (জেআরসি) বৈশ্বিক বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে পূর্বাভাষ করেছেন যে ২০০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উজানে বন্যার মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে।”
আবারও মনে করিয়ে দেই সবাইকে, প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩০০-৫০০ কিলোমিটার প্রস্থের এলাকার উপর পতিত ১ মিটার উঁচু ( ৩ ফুট) পানি একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী গুলোর মধ্যমে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হবে (প্রথম ছবি, গত ৭ দিনের মোট বৃষ্টিপাত)। বাংলাদেশের নদী গুলোর ঐ ক্ষমতা নাই যে ঐ পরিমাণ পানি ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রবাহিত করবে; বড় রকমের বন্যা ছাড়াই।
কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহার রাজ্যে (২য় (কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত জলীয় বাষ্পের ছবি) ও ৩য় (কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত মেঘ এর ছবি) ছবির লাল রঙ এর বৃত্ত চিহ্নিত এলাকা) যে পানি পদ্মা নদীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে পতিত হবে।
কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে চিনের তিব্বত প্রদেশে (কালো (২য় ছবি) ও বেগুনি (৩য়) রঙ এর বৃত্ত চিহ্নিত এলাকা); যে পানি প্রথমে ব্রক্ষপুত্র নদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এর পর যমুনা, মেঘনা নদীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হবে।
কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে (হলুদ রঙ এর বৃত্ত চিহ্নিত এলাকা); যে পানি বরাক ও সুরমা নদীর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মেঘনা নদীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হবে।
ফকির লালন সাই এর গান আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই সরকারের কর্তাব্যক্তিদের
“দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না
তুমি কেন জানলে না
সময় গেলে সাধন হবে না”