কসবায় বেশ কয়েকটি প্লাবিত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
---
আনোয়ার হোসেন উজ্জল : উজান থেকে নেমে আসার পাহাড়ি ঢল ও দুই দিনের টানা বষর্ণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর,বায়েক ও কায়েমপুর বিনাউটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে কয়েক শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে বাড়ি ঘর,ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষকের রোপা আমন আউশ ধান,ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ভেসে গেছে পুকরের মাছ। ধসে পড়েছে পাহাড় ও পানিতে ডুবে মারা গেছে এক শিশু। গোপীনাথপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও,জয়নগন,ধজনগর,বাতান বাড়ি, মানক্যমোড়া, সুতারমোড়া, রামপুর, কাজিয়াতুলি, বিঞ্চউড়ি, গানপুর,রাজনগরসহ প্রমুখ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের লোকজন। দুই দিন ধরে কসবায় চলছে অবিরাম বৃষ্টিপাত। বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিনাই,বিজনা,সালদা নদীর পানি বিপদসীমানা দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে। গোপীনাথপুর ইউপির নোয়াগাও গ্রামের খেলার মাঠে পানির জোয়ারে ভেসে গিয়ে সৌদি প্রবাসী জসীম ভুইয়ার বড় ছেলে মোঃ সিজান ভুইয়া রাসেল (১২) পানিতে ডুবে মারা যায়। নিহতর মা নিলুফা ইয়াসমিন ছেলে রাসেলের জন্য কান্না ভেংগে পড়েন। গোপীনাথপুর ইউপির প্রায় শতাধিক বাড়ির পানিতে তুলিয়ে গেছে। পাথারিয়াদ্ধার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে পাড়ার ধসে পড়েছে। আর মানিক্যমোড়া পাহাড় ধসে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় পাহাড় ধসে বড় ধরণের অঘটন ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান। শনিবার সাংবাদিকদেরকে পানিতে বাড়ি ঘর ডুবে যাওয়া বাতানবাড়ির জালাল মিয়া জানান, পানিবন্দির কারণে অন্যর বাড়িতে গিয়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। কসবা উপজেলায় প্রায় কয়েক শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে যার আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলে এলাকার মানুষ ধারণা করছেন। কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এড.আনিসুল হক ভুইয়া প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলে এলাকাবাসী জানান।