বাঞ্ছারামপুর-হোমনার সিএনজি চালকদের গ্যাস নিতে এখনো চাঁদা দিতে হয়
---
ফয়সল আহমেদ খান , বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা গ্যাস নিতে গিয়ে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি অটোরিকশা ভাড়া নির্ধারণ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সভায় তাঁরা এই অভিযোগ করেন।
এই নিয়ে কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিন্টু রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে বাঞ্ছারামপুর থানায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শওকত ওসমান, পৌর মেয়র খলিলুর রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংশু কুমার দেব, আইয়ুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান, উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ মো. আজিজসহ অর্ধশত অটোচালক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কয়েকজন অটোরিকশাচালক অভিযোগ করে বলেন, সিরিয়াল দেওয়ার নামে প্রতিদিন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের মোল্লাবাড়ির স্টেশনে ৪০ টাকা, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্টেশনে ৩০ টাকা, জগন্নাথপুর মোড়ে ৩০, মরিচাকান্দি স্টেশনে ৩০, কড়িকান্দি ফেরিঘাটে ৩০, ছয়ফুল্লাকান্দিতে ৩০, রূপসদীর জালালীর মোড়ে ১০, ফরদাবাদ-গকুলনগর মোড়ে ১০ ও ফরদাবাদ রবির বাজারে ১০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। তা ছাড়া গ্যাস নিতে গিয়ে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি বাজারে ১০ টাকা, চালানশাহপুর বাজারে ১০ টাকা, দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর সেতুতে ১০ টাকা, গৌরীপুর বাজারে ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদাবাজির কারণে অটোরিকশার ভাড়া বেশি নিতে হয় বলে জানান চালকেরা।
উপজেলা অটোরিকশা ভাড়া নির্ধারণ কমিটির আহ্বায়ক মিন্টু রঞ্জন সাহা বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে অটোরিকশা চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন। নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করতে বসে বিভিন্ন সমস্যার কথা জেনেছি। প্রতিটি স্টেশনে সিরিয়াল দেওয়ার নামে কোনোভাবেই ১০ টাকার বেশি আদায় করা চলবে না এবং কেউ আদায় করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে ইউএনও মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, ‘অটোরিকশা একটা শৃঙ্খলায় আনতে হবে। পাশের উপজেলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দ্রুত একটি সভা করে বিভিন্ন সড়কে অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণ করা হবে।’
কিন্তু,চালকদের অভিযোগ এখনো উপজেলা নির্বাহী কর্তার আদেশ বা আশ^াস বাস্তবায়িত না হওয়ায় আমরা হতাশ।