বাঞ্ছারামপুরে প্রবাসীদের গ্রাম:দরিকান্দি আর রুপুস্দী
---
ফয়সল আহমেদ খান , বাঞ্ছারামপুর : প্রবাসীদের আয়ে বদলে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তিতাস নদীর পাড়ের দরিকান্দি ও রুপুস্দী গ্রামের চিত্র। প্রতিমাসে এই ২ গ্রামে অন্তত ৮০ কোটি টাকা রেমিটেন্স আসায়, আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গ্রামের জীবন জীবিকায় বলে জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রবাসীদের পরিবারবর্গ।
আর তাদের এই কর্মকান্ডকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপুসদী ও দরিকান্দি গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের এক সময় প্রধান পেশা ছিল কৃষিকাজ ও তাঁত পণ্য তৈরী। কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে বিদেশে পাড়ি জমানোর স্বপ্ন দেখেন এলাকার অনেক তরুন।
১৯৬২ সালে সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হক ওদুদ মিয়ার সহযোগিতায় প্রথম সাগর পথে জাহাজে করে বিদেশে পাড়ি জমায় এখানকার ১৮ জন তরুণ। পরে তাদের হাত ধরেই একে একে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে শুরু করে এলাকার যুবকেরা। যাদের পাঠানো টাকাতেই আজ আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গ্রামটিতে। জরাজীর্ণ বাড়িঘরের স্থলে তৈরি হচ্ছে শহরের আদলে বহুতল ভবন।
বিদেশে অবস্থানরত গ্রামের ছেলেদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলা দরিকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম স্বপন ও রুপুসদী গ্রামের প্রবাসী ধনকুবের তুহিনুল ইসলাম একমত হয়ে বলেন, ‘প্রতি মাসে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকার মতো আয় আসে এই রেমিটেন্স থেকে। আর এই রেমিটেন্স থেকে এই এলাকার মানুষেরা ভালভাবে জীবনযাপন করছে।’
দরিকান্দি গ্রামের যুবদল সভাপতি মো.বাক্কী মিয়া বলেন,-‘আমিও বিদেশে ছিলাম।বয়সের কারনে দেশে চলে এসেছি।বিদেশে অবস্থানকালীন আমি নিজে অর্ধশতাধিক স্থানীয় বেকারদের বিদেশে নেয়ার ব্যবস্থা করেছি।’
এলাকার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত ওসমান।
দরিকান্দি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের বাস। এদের মধ্যে ৩ হাজার ২শ জন প্রবাসী।
ভিন্নদিকে,রুপুসদীতে ৩১ হাজার মানুষের বসবাস করলেও বিদেশে আছেন ৭ হাজারের উপরে।