চুল পড়া রোধে যেভাবে শ্যাম্পু করবেন
---
বাথরুমে ঢুকলেন, মাথায় পানি ঢাললেন, শ্যাম্পু দিলেন, আর ব্যস হয়ে গেল! দীর্ঘদিন ধরে যদি এই নিয়ম চালাতে থাকেন, তাহলে টাক পড়া থেকে আপনাকে কেউ বাঁচাতে পারবেন না৷ তবে বলি কি? একবার চোখ বুলিয়ে নিন, দেখে নিন কীভাবে শ্যাম্পু করলে চুল থাকবে ভালো-
১। প্রতিদিন শ্যাম্পু না করে ২ দিন অন্তর শ্যাম্পু করুন।
এতে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া বা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আবার চুলের উজ্জ্বলতাও ঠিক থাকবে।
২। শ্যাম্পু করার মাঝে খুব বেশি কিছুদিন গ্যাপ দেওয়াও ঠিক নয়। এতে ময়লা জমে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে আবার চুল পড়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনার চুলের স্বাস্থ্যে ও ধরণ বুঝে সঠিক ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু বাছাই করুন।
৩। শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নিন ও পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিবেন।
৪। শ্যাম্পু করার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্যাম্পুর সাথে মিক্স করে ব্যবহার করুন যাতে ফেনা বেশি হয় আর চুলের গোঁড়ায় শ্যাম্পু ভালোভাবে যায়।
৫। ফেনাযুক্ত চুল হালকা ভাবে আস্তে আস্তে ঘসতে থাকুন আর আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ঠিকঠাক ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট আঙুল এর ডগা দিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাসাজা করুন। এভাবে শ্যাম্পু করলে আপনার মাথার তালুতে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হবে।
৬। মোটা দাতেঁর চিরুনি দিয়ে চুল আস্তে আস্তে আঁচড়াবেন যাতে চুলের সঙ্গে জমে থাকা ময়লা উঠে যায়।
৭। শ্যাম্পু করার জন্য অবশ্যই সবসময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন। গরম পানি আপনার চুলের গোড়া নরম করে ফেলে চুল পড়া সমস্যা তৈরি করবে।
দরকার হলে একই সঙ্গে ২য় বার শ্যাম্পু করুন। তবে ২য় বার শ্যাম্পু করা ভাল কারণ, চুলের গোড়ায় ম্যাসাজের ফলে সিরাম নামক এক ধরণের তেল বের হয় যা ২য় বার শ্যাম্পুর ফলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৮। চুলকে উজ্জ্বল, নরম আর ফুরফুরে রাখতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। অবশ্যই ব্রান্ডের বিশ্বস্ত কন্ডিশনার চুলে হালকা ভাবে লাগিয়ে একটু সময় অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা ও বেশি পরিমাণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৯। ভিজা চুল বেশিক্ষণ রাখবেন না। চুল মোছার জন্য পরিস্কার নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন।
১০। যতটা কম সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন। ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে ভাল