মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীদের ধরপাকড় বন্ধ হয়েছে : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
---
নিউজ ডেস্ক : প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, বাংলাদেশীদের ধরপাকড় বন্ধ করেছে মালয়েশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশটিতে অনিয়মিত বাংলাদেশীদের নিয়মিত হওয়ার জন্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করার জন্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাই। তারপর মালয়েশিয়া ধরপাকড় বন্ধ করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী রোববার তার দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন।
রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশী মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) আয়োজিত এই সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান শ্রমবাজার পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ’।
আরবিএম সভাপতি ফিরোজ মান্নার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন নির্বাহী সদস্য মহসীনুল করিম।
নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির সিন্ডিকেট বাংলাদেশ তৈরি করেনি। মালয়েশিয়ার সরকারই সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তারা বলেছে, ১০ জনের মাধ্যমে তারা লোক নেবে। আমরা সবার মাধ্যমে লোক নেয়ার পক্ষে কাজ করেছি। তবে এ নিয়ে খুব বেশি চাপ দেইনি। কারণ এতে করে মালয়েশিয়া আমাদের দেশ থেকে লোক না নিয়ে অন্য দেশ থেকে কর্মী নিতে পারে। মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার খোলার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার কর্মী গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, জনশক্তি খাতে আমাদের পদে পদে সমস্যা রয়েছে। রাতারাতি এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। অনেকে কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। কূটনৈতিক ব্যর্থতার দায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী হিসাবে দুই বছর অতিবাহিত করেছেন নুরুল ইসলাম বিএসসি। এই দুই বছরের অর্জনে কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। ৮০ ভাগ সন্তুষ্ট তবে ২০ ভাগ সন্তুষ্ট নই। যারা বিদেশে কর্মী পাঠান তারা অনেকে ভাল আবার অনেকে ভাল না। অনেকে ভাল না হওয়ায় সমস্যা হয়, দুর্গন্ধ ছড়ায়’।
মন্ত্রী জনশক্তি খাতের উন্নয়নে সকলে মিলে কাজ করার প্রতি জোর দিয়ে বলেন, আমরা সবাই মিলে কাজ করলে ভুলত্রুটি ধরা পড়বে। আমরা চাই, সবাই আমাদের ত্রুটি ধরিয়ে দিক’। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকেও জনশক্তি রফতানি খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। রাশিয়া ও জাপানসহ বেশ কিছু নতুন শ্রমবাজার খোলার জন্যে সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানান।