‘নিষ্ক্রিয় নেতাদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হবে’
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যেসব নেতারা নেই, তাদের বিষয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ দলের নেতারা। যারা দলের বড় বড় পদে আছেন, অথচ কোন কর্মসূচিতে উপস্থিত হন না, তাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তালিকা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেয়া হবে। দলের সভানেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেন সেটাই মেনে কাজ করবেন বলেও জানান এ নেতা। আজ শনিবার চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম জহুর আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আ জ ম নাছির উদ্দিন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র নাছির উদ্দিন নিষ্ক্রিয় নেতাদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, অনেকে সাংগঠনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। অথচ দলের কর্মসূচিতে আসার সময় হয় না। এসব নেতাদের বিগত সময়েও অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু দলীয় কর্মকান্ডে তাদের অংশগ্রহণ নেই। ব্যক্তিগতভাবে কারও মান-অভিমান থাকতে পারে। সেটার দায় দলের নয়। এই দল সবার। তাহলে আমরা কেন শুধু রাস্তায় থাকব? আমরা কেন শুধু রাস্তায় রোদে পুড়বো, পানিতে ভিজবো আর পুলিশের মার খাব। দলের কর্মকান্ডে না থাকলে আপনারা পদ নিয়েছেন কেন? আপনারা নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যেসব মন্ত্রী-এমপি দলের কর্মকান্ডে আসেন না, তাদের পদ ছেড়ে দিন। অপর সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম বিএসসি এখন মন্ত্রী, সহ-সভাপতি আফসারুল আমীন হচ্ছেন এমপি, কমিটির সদস্য এমএ লতিফ ও দিদারুল আলম আওয়ামী লীগের সর্মথন নিয়ে এখন এমপি। তারা কেউ দলের কোন কর্মসূচিতে কখনও দেখেন নি। একই সাথে নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও সিডিএ’র চেয়ারম্যান ছালাম সাহেব আসেন না কেন ?’ তিনি ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, আমরা তো দলের কর্মী, সরকারের কেউ নয়। আপনারা সরকারি পদ-পদবিতে আছেন, আপনারা কেন আসেন না ?
নগর আওয়ামী লীগের আরেক সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে যে ৬টি আসন আছে, একজন এমপিও দলের তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতা নন। তারা পরগাছা। তারা শুধু নিজেরটা প্রচার করে, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার করে না। এ জন্য তাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আজ হতাশ। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন। নেত্রী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। কিন্তু তৃণমূলকে জাগিয়ে তুলতে না পারলে নির্বাচনে আমরা জিততে পারবো না। তৃণমূলকে জাগাতে হলে পরগাছাদের বিদায় করে সত্যিকারের ত্যাগী এবং আওয়ামী লীগের অন্তপ্রাণ নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে বলে জানান তিনি।
দামপাড়ায় নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আজ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন চৌধুরী। তবে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী অসুস্থ থাকায় সভায় আসতে পারেননি। নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ প্রমুখ।