বাঞ্ছারামপুরে পরকীয়ার জেরে যুবকের ৩ মাসের কারাদন্ড
---
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপৃুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা (উক্ত ইউপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক) মো.রুস্তম আলীর বিবাহিতা ও ৩ সন্তানের মা’রসাথে একই উপজেলার আইয়ূবপুর ইউনিয়নের বাশগাড়ি গ্রামের দরিদ্র আক্কাস মিয়ার মেধাবী শিক্ষার্থী ছেলে মো.রুবেল মিয়ার দীর্ঘ ১০ বছরের পরকীয়া প্রেমের ইতি ঘটে ৩ মাসের কারাদন্ডের মাধ্যমে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শওকত ওসমান ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রেমিক রুবেলকে আওয়ামীলীগ নেতা রুস্তমের (!) বোনের সাথে বিবাহবহিভ’ত সম্পর্ক স্থাপনও মেয়েটিকে ১০ বছর পরও,উত্তক্তের (ইভটিজিং) কারনে ৩ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে বলে জানান।খোজ নিয়ে জানা গেছে,প্রেমিক রুবেল বাল্যকাল থেকে মেয়েটিকে ভালোবাসতো।
এস.এস.সি ও এইচ.এস.সিতে জিপিএ ৫প্লাস পাওয়া রুবেল একটি বেসরকারি মেডিক্যালে ভর্তি হয়ে পওে ভর্তি বাতিল কওে বাঞ্ছারামপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্সে ভর্তি হয় কেবল প্রেমিকা,ওই মেয়েটিকে প্রতিনিয়ত একনজর দেখার জন্য।মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়।স্বামী প্রবাসী।কিন্তু,রুবেল ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়েটি জানায়, তারা প্রতিনিয়ত সম্পর্ক অব্যাহত রাখে।উভয়ই উভয়ের বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া ছিলো।
ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার বিকেলে ফলমূল নিয়ে প্রেমিক রুবেল পূর্বেও মতো সোনারামপুর গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে গেলেস্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা রুস্তম আলী যুবকটিকে রাতঞ আটকে রেখে মারধোর করে।
সরেজমিনে আজ সকালে,প্রেমিকা মেয়েটির বাড়িতে গেলে রুস্তম আলী ও মেয়েটি জানায়,মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিলো অতি গোপনে।এরই মধ্যে রুবেল মেয়েটির কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।সে টাকা ফেরত না দেয়ার কারনে মূলত তাকে বেধে রাখা হয়।পওে গতকাল দুপুরে পুলিশে হাজির করলে বাঞ্ছারামপুর ইউএনও যুবকটিকে ইভটিজিং (!) অভিযোগে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।