g পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে আড়াই বছর যুদ্ধ করতে প্রস্তুত ভারত : বিপিন রাওয়াত | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ৪ঠা আগস্ট, ২০১৭ ইং ২০শে শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে আড়াই বছর যুদ্ধ করতে প্রস্তুত ভারত : বিপিন রাওয়াত

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৮, ২০১৭
news-image

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে আড়াই বছর ধরে যুদ্ধ করার মতো রসদ রয়েছে ভারতীয় সেনার। বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছেন ভারতের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ভারতের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও চীন যে বড় হুমকি এদিন সেই কথাও মনে করিয়ে দেন ভারতীয় সেনা প্রধান। এই দুই প্রতিবেশী দেশের পাশাপাশি দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী শক্তিকে বার্তা দিয়ে বিপিন রাওয়াত জানান, ‘আড়াই বছর ধরে পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধ করতে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে’।

এদিন সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান। এমন একটা সময় তিনি এই মন্তব্য করেছেন যখন নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তানের ওপার থেকে অনুপ্রবেশ কিংবা গোলা বর্ষণের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এদিন সকালেই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় ভারতীয় সেনার গুলিতে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর।

সশস্ত্র বাহিনীকে আরও অত্যাধুনিক করে তোলা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সবসময়ই যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের বাহিনীর আধুনিকীকরণের বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে এবং সেটা সুষ্ঠুভাবেই এগোচ্ছে। অস্ত্র ব্যাবহারে আমাদের বাহিনী সবসময় সবসময়ই একটা সমতা বজায় রেখে চলে।

অতি শিগগির ভারতের কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরবে বলেও আশা প্রকাশ করছেন সেনাপ্রধান। কাশ্মীরে অস্থিরতা তৈরির জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে উপত্যকায় অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে পাকিস্তান। তারা কাশ্মীরের যুবকদের মধ্যে সাজানো ডিডিও এবং মেসেজ ছড়িয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এই কাজে সমর্থন জানিয়েছে উপত্যাকার কিছু মানুষও’।

সরকারের অভিমত এইমুহূর্তে উপত্যকায় প্রায় দুই শতাধিক সক্রিয় জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে, যদিও বিগত বছরগুলোর তুলনায় সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কম। তবে চিন্তার বিষয় জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি)-এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই নিজেদের দলে টানতে চাইছে যুব সমাজকে। স্বাভাবিকভাবে সরকারের নজরে রয়েছে ওয়াটঅ্যাপস, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলিও।

এ জাতীয় আরও খবর