স্বস্তির বৃষ্টি
---
অবশেষে কিছুটা বৃষ্টির দেখা পেলো রাজধানীবাসী। এতে মানুষ ফেলছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদিও তা স্থায়ী ছিল কয়েক মিনিট। তবে এতেই প্রকৃতিতে কিছুটা হিমেল হাওয়া ছড়িয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ঢাকায় ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিনের মতো শুক্রবার নগরীর আকাশে সূর্যের তেজীভাব ছিলো না। পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে সকাল থেকেই আকাশ ছিলো মেঘলা। ঘনকালো মেঘ সকাল থেকে ঢেকে দিচ্ছিলো সূর্যের তাপ। নগরীতে বৃষ্টি হতে পারে সকাল থেকেই অনেকটা টের পাওয়া যায়। তাপদাহ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিয়ে অবশেষে চারটার পর রাজধানীতে পড়তে থাকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি।
এমন বৃষ্টি সত্যিই স্বস্তি দিয়েছে নগরবাসীকে। খরতাপে দগ্ধ নগর জীবনে পরিত্রাণ মিলেছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে। ঘড়ির কাটা ঠিক চারটার পর থেকে নগরীর বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বিশেষ করে মহাখালী, বনানী, গুলশান ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টিপাত প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাাবনা রয়েছে। এরকম বৃষ্টিপাত কয়েকদিন চলবে। তীব্র তাপদাহ থাকবে না। এটা ধীরেধীরে কমতে থাকবে।’
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে আকাশ আংশিক মেঘলা রয়েছে।
রংপুরের রাজারহাটে ৭০ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে রংপুরের ডিমলায় ৪০, রংপুর সদরে ২১, তেতুলিয়ায় ১৪, সিলেটে ৩৬, ময়মনসিংহে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তাপদাহে এখনও পুড়ছে রাজশাহী, পাবনা, রাঙামাটি, চাঁদপুর নোয়াখালী ও কক্সবাজার অঞ্চল। তবে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব অঞ্চলেও দেখা মিলবে স্বস্তির বৃষ্টি।