ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাখো মানুষের এক মাত্র ভরসা বাশেঁর সাঁকো
---
তৌহিদুর রহমান নিটল , ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরাইলে স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পেড়িয়ে গেলেও ছেত্রা নদীর উপর একটি সেতু নির্মিত না হওয়ায় যেন দূর্ভোগের শেষ নেই ১৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের। এতে শিক্ষা চিকিৎসা স্বাস্থ্য ও ব্যাবসা বাণিজ্য সহ বিভিন্ন দিকে পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। স্থানীয়দের উদ্যোগে তৈরি করা ৭শ’ ফুট এ সাঁকোটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শিশু, বৃদ্ধা, নারী পুরুষ শিক্ষার্থী সহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে। বর্ষা মৌসুমে যেন দূর্ভোগের শেষ নেই এতে প্রায়ই ঘটছে দূঘটনা। স্বাধীনতার কয়েক যুগ পেড়িয়ে গেলেও ছেত্রা নদীর উপর একটি সেতু নির্মিত না হওয়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে। এসব এলাকার মানুষেরা শিক্ষা চিকিৎসা ব্যাবসা বাণিজ্য সহ বিভিন্ন ভাবে পিছিয়ে রয়েছে। প্রত্যন্তÍ হাওর বেষ্টিত অরুয়াইলের পশ্চিম দিকের রাজা পুর, বড়ই ছাড়া, সিঙ্গাপুর এলাকার গ্রামবাসী প্রায় ২যুগ আগে তৈরি করে ৭শ’ ফুট বাঁশের দীর্ঘ সাক্কুটি যার প্রস্ত ৬ ফুট আর এটি তৈরি করা হয়েছিল বাঁশ, বেত, রশি, গুনা দিয়ে । প্রতি বছরই এ সাঁকোটি নিজস্ব অথ্যয়নে মেরামত করে উপজেলার রাণী দিয়া, পরমানন্দপুর, হরিপুর সহ ১৫টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যাবস্থাকে সচল করে রেখেছে। এটির উপর দিয়ে গ্রামবাসী বছরে বেশির ভাগ সময় চলাচল করলেও ভরা বর্ষা মৌসুমে এটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। তখন নৌকা দিয়ে নদী পাড়াপাড় হতে হয়। ঝড় বৃষ্টির কবলে পরে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানীর সহ নানা রকম দূঘটনা। উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নয়ে রয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সরকারী বে সরকারী প্রতিষ্ঠান সহ হাট বাজার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নারী পুরুষ শিশুরা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ হাজার হাজার মানুষ সাঁকোর উপর দিয়ে নদী পাড়াপাড় হতে হচ্ছে। বর্ষা কালে তা চরম আকার ধারন করে কৃষি নির্ভর এ এলাকার মানুষ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা নিতে যেন দূর্ভোগের শেষ নেই। তা ছাড়া পাশবর্তী জেলা কিশোরগঞ্জ, ভৈরব ও কুলিয়ারচর সহ কয়েকটি গ্রামের লোক জন ভৌগলিক কারনে এই সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করে অরুয়াইল বাজার ও জেলা শহরে আসে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সব জায়গায় উন্নয়নের ছুয়া লাগলেও এই এলাকার জন প্রতিনিধিদের অবহেলার কারনে র্দীঘ দিন সাঁকোটির পরিবর্তে ব্রিজ নির্মান হয়নি । সাক্কুটি নির্মানকারী নুরুল ইসলাম সহ আরো কয়েক জন বলেন, সাধারন মানুষের সুবিধার জন্য আমরা প্রায় ২যুগ আগে সাঁকোটি নির্মান করি প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করে আর এতে জনপতি ২টাকা করে নেওয়া হয়। জানিনা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কখন পড়বে এই সাক্কুটির দিকে আর প্রায় লক্ষাদিক মানুষের জীবন যাত্রার দু: কষ্টের লাগব হবে। অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন আমরা যেন আদিম যুগে বাস করছি এই ব্রিজটির জন্য আমরা অবহেলায় আছি। এতে প্রায় ছোট বড় দূঘটনা ঘঠছে। কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি অচিরেই যেন ব্রিজটি নির্মাণ করে এলাকার শিক্ষার স্বাস্থ্য ও কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তির শেষ হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এড: জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ব্রিজটি নির্মানে আমি আগেও ডিও লেটার দিয়েছি প্রয়োজনে আবারও দিবো। আশা করছি আগামী বছরে ব্রিজটি নির্মান কাজ শুরু হতে পারে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মানে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন এবং ব্রিজটি নির্মান হলে এলাকার শিক্ষাসহ সব ধরনের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে।