‘সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল খালেদা জিয়ার আঁচল’
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সন্ত্রাসী, জঙ্গি যারা আছে তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল খালেদা জিয়ার আঁচল। তার আঁচলের নিচেই এরা নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ২০১৩ সালের ৫ মে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মদদে শাপলা চত্বর, বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতাদের বিচারের দাবিতে সমাবেশে ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সন্ত্রাস-জঙ্গি গোষ্ঠির মদদদাতা বেগম খালেদা জিয়া। তার মদদেই ৫ মে তাণ্ডব হয়, জঙ্গি হামলা হয়, কোরআন শরীফ বিক্রির দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়, এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করা হয়। এইসব সন্ত্রাসীদের আঁচলের নিচে আগলে রাখেন খালেদা জিয়া। যতদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা না হবে ততদিন পর্যন্ত এই দেশ থেকে সন্ত্রাসীদের মুক্ত করা যাবে না।
৫ মে সম্পর্কে তিনি বলেন, এই ঘটনায় অনেক মামলা হয়েছে। আমি পুলিশকে অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব চার্জশীট দিয়ে এই ঘটনার পিছনে যারা আছে তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সহায়ক সরকার বলতে কিছু নেই। যে সরকারের হাতে ক্ষমতা আছে, সেই সরকারের সময়েই নির্বাচন হবে, তবে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।
সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়িকা নূতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এম.পি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, মানবাধিকার কর্মী ফেরদৌস খান আলমগীর, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু, কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, এম.এ করিম, অ্যাডভোকেট নীলিমা চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট রোকনউদ্দিন পাঠান, অভিনেত্রী পারুল আক্তার লোপা, শেখ নওশের আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।