শনিবার, ১৩ই মে, ২০১৭ ইং ৩০শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

রোদে চামড়া পুড়েছে? জেনে নিন মুক্তির উপায়

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ১০, ২০১৭

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক :এরাজ্যে গরমকালে মেয়েদের মুখ ঢেকে চলাফেরা করার রেওয়াজ কম। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যে মেয়েরা গরমকালে মুখ বেঁধে বাইরে বেরোয়। কিন্তু আমাদের রাজ্যে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি। প্রচুর পরিমাণে ঘাম। ফলে মুখ ঢেকে চলাফেরা করা সম্ভব নয়। কিন্তু অনেকের আবার তাতে সানবার্ন হয়। রোদে পুড়ে যায় চামড়া।

কী করবেন চামড়া পুড়লে?

রোদ থেকে ঘরে ঢুকে খানিক অপেক্ষা করুন। ঘাম শুকোনো না পর্যন্ত স্নানে যাবেন না। ঠান্ডা লেগে যেতে পারে, সর্দি-কাশি হতে পারে। ঘাম শুকিয়ে গেলে শাওয়ারের ঠান্ডা জলে স্নান সেরে নিন। অনেকসময় গরমের কারণে ট্যাপ থেকে গরম জল বেরোয়। এমনটা হলে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে বালতি ভর্তি করে রাখুন। বাড়ি ফিরে ঠান্ডা জল পাবেন। স্নান সেরে ময়েশ্চারাইজ়ার লাগাতে ভুলবেন না। বিশেষ করে গরমকালকে মাথায় রেখে সামারকুল ময়েশ্চারাইজ়ার বিক্রি হয় বাজারে। তেমন ময়েশ্চারাইজ়ার বেছে নিতে পারেন। ময়েশ্চারাইজ়ারের সঙ্গে মেশাতে পারেন গোলাপ জল। স্নান সেরে ময়েশ্চারাইজ়ার না মাখতে চাইলে গোলাপ জলও মাখতে পারেন। চামড়া পুড়ে গেলে আরাম পাবেন। চুলকানিও কমবে।

মাখতে পারেন অ্যালোভেরা বা সয় ক্রিম ময়েশ্চারাইজ়ার। রোদে চামড়া পুড়ে গেলে আরাম পেতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিম। যেকোনও ওষুধের দোকানে এই ক্রিম পেয়ে যাবেন। সূর্যের তেজে পোড়া চামড়া সারাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বেনজ়োকেইন মলম। ত্বকের অ্যালার্জি সারিয়ে তোলে সহজেই।

পোড়ার কারণে ত্বক যদি ফুলে যায়, লালচে হয়ে যায় কিংবা অস্বস্তি তৈরি হয়, অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন ওষুধ খেতে পারেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে এই ওষুধ খাবেন না।

রোদ থেকে ত্বক পুড়ে গেলে তাতে লাগাতে পারেন বরফ। সারাদিনে অনেক পরিমাণ জল খান। জল না খেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ফেটেও যেতে পারে। ত্বকে জলের পরিমাণ বজায় রাখতে জল খান বেশি করে।

সানবার্নের সঠিক চিকিৎসা না করে বা পরদিন আবার রোদে বেরোলে পোড়ার উপর ফোসকা পড়তে পারে। সেটা আরও বেশি কষ্টকর। চেষ্টা করুন বাইরে না বেরোতে। ত্বকের সমস্যা মেটা না পর্যন্ত বাড়িতেই থাকুন। বারবার গোলাপ জল ও বরফ ঘষতে থাকুন পোড়া জায়গায়। ধীরে ধীরে সেরে যাবে। কিন্তু ফোসকা পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

সানবার্ন সবচেয়ে বেশি হয় তাঁদের, যাঁদের ত্বক রোদে কালচে হয় বেশি, অর্থাৎ ট্যান পড়ে বেশি। এর কারণ ত্বকে মেলানিনের নিঃসরণের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই এমন পোশাক বেছে নিন, যা হাত-পা, পিঠ, গলা ঢেকে রাখে। সুতির পাতলা কাপড় পরুন এই সময়। বাইরে বেরোনোর সময় মুখ ঢেকে নিন সুতির ওড়নায়। বারবার মুখে, হাত-পায়ে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। বাড়ির বাইরে কোনও কাজ থাকলে, সকালে না করে, বিকেলের দিকে করুন। মোদ্দা কথা, যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।