বুধবার, ১০ই মে, ২০১৭ ইং ২৭শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

‘প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারনে আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত হয়’

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৪, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘কিছু মিডিয়া তাদের কাটতির জন্য আমার বক্তব্য একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করে থাকে। আবার কেউ কেউ খুব সুন্দরভাবেও উপস্থাপন করে। আসলে রাষ্ট্র বা সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের কোনো বিরোধ নেই। আমি চাই আইনের শাসন। কারণ দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য আইনের শাসন অপরিহার্য।’

বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিতেই আইনজীবী ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগে ফুল কোর্টের সিদ্ধান্তগুলো নিয়মমতো বাস্তবায়ন হতো, এখন সেগুলো হয় না। কারণ প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝানো হয়। প্রধানমন্ত্রী বিচারবিভাগের জন্য যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু কিছু মানুষ তাকে ভুল বুঝাচ্ছেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যে কোনো সরকারের সময়ে অতি উৎসাহী কিছু নেতাকর্মী এবং প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকেন; যাদের বাড়াবাড়ির কারণে রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত হয়। সরকারও পড়ে বিব্রতকর অবস্থায়। এরা সরকার প্রধানকে ভুল রিপোর্ট দিয়ে বিচার বিভাগের ক্ষতি করছে। আর এ কারণে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না। এতে জনগণ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলার ক্ষতি হচ্ছে। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। কারণ এতে তারা বিব্রত বোধ করবেন।’

তিনি বলেন, আমি সরকার বা মন্ত্রীর সঙ্গে বাহাস করতে চাই না। দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এ অবস্থা থেকে আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এ সময় তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার নিজের হাতে তুলে না নিতে আইনজীবীদের পরামর্শ দেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হয় তাহলে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে না।

জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পিপি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, জিপি অ্যাডভোকেট মোমিন আহমেদ চৌধুরী, জয়পুরহাট বারের সিনিয়র আইনজীবী খাজা জহুরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহিনুর আলম চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।

অন্য বক্তারা জয়পুরহাটে ৫ বিচারকের পদ খালি থাকার কথা তুলে ধরে বলেন, এতে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। এ কারণেই দেড় সহস্রাধিক মামলা ঝুলে আছে।

অনুষ্ঠানের আগে প্রধান বিচারপতি জয়পুরহাটের জেলা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরিদর্শন করেন এবং বিকালে জয়পুরহাট সার্কিট হাউসে জুডিশিয়াল কনফারেন্সে যোগ দেন।

এ জাতীয় আরও খবর