বুধবার, ১০ই মে, ২০১৭ ইং ২৭শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

থানার ভেতর আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৪, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : থানার ভেতর পুলিশের সামনেই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাত্রলীগ নেতার মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বুধবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর কামরাঙ্গী চর এলাকার।

জানা যায়, কামরাঙ্গী চরের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানো নিয়ে তার ভাতিজা সৌরভ আলীর সঙ্গে স্থানীয় থানা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ হোসেন বিপ্লবের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আনোয়ার হোসেন এগিয়ে এসে তাৎক্ষণিক বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করেন এবং দুজনকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যান।

আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, এসময় কামরাঙ্গী চর থানার ওসি (তদন্ত) বাবু কুমার সাহার সামনে থানার ভেতরেই ছাত্রলীগের সভাপতি বিপ্লব ও সঙ্গীয় লোকজন তাকে মারধর করে। তার জামা কাপড় ছিলে ফেলে।

স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনও ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।এরপরে রাতে আনোয়ার হোসেনের তিন তলা বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলেও তিনি জানান।

আনোয়ার হোসেন বলেন, কামরাঙ্গীর চরের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগ করে জীবন পার করে দিয়েছি আর শেষ বয়সে থানা ছাত্রলীগের সভাপতির হাতে মারধরের শিকার হতে হয়। সেটা আবার থানার ভেতরে। এই মুখে এলাকায় বের হওয়ায় লজ্জার।

তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ওরা আমাকে মারধর করেই শান্ত হয়নি বিপ্লব ও তার ক্যাডাররা আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। থানায় মামলা করলে জীবন থেকেই নাকি সরিয়ে দিবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।

আনোয়ারের বাড়ি পরিদর্শন করেন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন সরকারসহ অনেকেই।

কামরাঙ্গীর চর থানায় টেলিফোন করলে ফোন ধরেন এসআই গিয়াস। তিনি বলেন, ঘটনাটি সন্ধ্যার আমি তখন উপস্থিত ছিলাম না। আমি ডিউটিতে এসেছি রাতে।

মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ঠিক জানি না। বিস্তারিত বলতে পারবেন ওসি তদন্ত।

কামরাঙ্গীচর থানার ওসি (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেলিফোনে বলেন, উনাদের একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সেটা কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন সাহেবের উপস্থিতিতে মিটে গেছে।

কিন্তু আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ করেছেন থানায় আপনার সামনেই মারধর করেছে এবং বাড়িঘর ভাংচুর করেছেন জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, বাড়িঘর ভাংচুরের বিষয়টি আমি জানি না খোঁজ নিয়ে দেখবো। আর এটা আওয়ামী লীগ আর ছাত্রলীগের মধ্যে হয়েছে। তারা তারাই। কালের কণ্ঠ