শুক্রবার, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৮শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়েছে মুফতি হান্নানকে

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭

নিউজ ডেস্ক : সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শুনানো হয়েছে। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি তিন জঙ্গিকে এ পরোয়ানা গত শুক্রবার পড়ে শুনানো হয়। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের দণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে। কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে আনোয়ার চৌধুরী আহত হন এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ নিহত হন তিনজন।

২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) সদস্য শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল এবং দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে ফাঁসি দণ্ড দেয়। এছাড়া মহিবুল্লাহ মফিজ ও মুফতি মঈন উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। গত ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ আসামীদের আপিল খারিজ করে গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার দায়ে মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। পরে বিচারিক আদালত তাদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। আপিল না করায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ওই সাজাই বহাল থাকে। দণ্ডিত পাঁচ আসামির সবাই কারাগারে আছেন।

মঙ্গলবার সকালে মিজানুর রহমান আরো জানান, মুফতি হান্নানের আইনজীবীর মাধ্যমে জেনেছেন ওই রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নান রিভিউ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ হরতাকাতুল জিহাদের ১৩টি নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পেছনের মূল ব্যক্তি বলা হয় মুফতি হান্নানকে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মুফতি হান্নানের বাড়ি। ২০০০ সালের ২০ জুলাই সেই কোটালীপাড়াতেই শেখ হাসিনার সভামঞ্চের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। মুফতি হান্নান ওই মামলারও আসামি।