ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই -বাছাই কার্যক্রম শুরু
---
নিজস্ব প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নানা রকম প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। এতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হারুণ অর রশীদকেও অনেকে দেখছে বাঁকা চোখে। সদর সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ছয় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে একটি চিঠি (নোটিশ) ইস্যু করেছে ওই কমিটি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আগামী শনিবার প্রমাণপত্রের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুণ অর রশীদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। এমতাবস্থায় ২৬.০১.২০১৭ তারিখের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপক্ষে মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ফরম পূরণ পূর্বক সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রের যাবতীয় কাগজপত্রসহ জমা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত আগামী ২৮.০১.২০১৭ তারিখে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় সকল কাগজপত্রসহ সশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হল। বর্ণিত সময়ের মধ্যে কাগজপত্র জমাপ্রদানে ব্যার্থ হলে এবং নির্ধারিত তারিখে স্ব-শরীরে উপস্থিত না পারলে আপনার মুক্তিযোদ্ধার গ্যাজেট বাতিলের সুপারিশসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুধু জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারই নন জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শফিকুল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার গাজী রতন মিয়া, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রাসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃস্থানীয় অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে এ চিঠি (নোটিশ) ইস্যু করা হয়েছে। চিঠি ইস্যুর পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম পরিচয়হীন চার ব্যক্তির স্বাক্ষরিত এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি ইস্যু করায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধারা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে এর প্রতিবাদ জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুণ অর রশীদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ইস্যু করা চিঠি ইউএনওর এখতিয়ার বর্হিভুত। আমরা ইউএনও কে বলেছি নাম-পরিচয়হীন চার ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরখাস্ত করেছেন, আপনাকে (ইউএনও) ওই দরখাস্তের একটি কপি দেয়া হয়েছে। ওই কপি আমলে নিয়ে আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি ইস্যু করার এখতিয়ার রাখেন না।
তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার জন্মই হয়নি। কারা এখানে মুক্তিযোদ্ধা, কারা মুক্তিযোদ্ধা নন এবং কারা রাজাকার সেটি আমার জানার কথা নয়, আমি এখানে চাকরি করতে এসেছি।