অনলাইন ডেস্ক : একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়েছে স্থানীয় এমপির লোকজন। আর মারধরের সেই ভিডিওটি এখন ভাইরাল। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সরব সেই ভিডিও নিয়ে। মুক্তিযোদ্ধার নাম মোক্তার আহমেদ মিজান। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। ভিডিওতে আরেক তরুণকেও পেটানোর দৃশ্যও দেখা গেছে। ওই তরুণ মোক্তার আহমেদের ছেলে সুমন আহমেদ। যারা মারধর করছিলেন তারা স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লার অনুসারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।
ভিডিওটি গতকাল সোমবার থেকে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঘুরছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সময়কাল দেখা যাচ্ছে ১৮ অক্টোবর, সন্ধ্যা পৌনে সাতটা।
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটির ভিডিওটি সংগ্রহ করে গতমাসের শেষের দিকে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করা হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে:
একটি দোকানের সামনে চেয়ারে বসে আছেন এক ব্যক্তি। হঠাৎ একদল যুবক এসেই তাকে নির্বিচারে পেটাতে শুরু করলেন। তাদের হাতে লাঠি, স্টিলের রড। অন্তত তিনজন পেটাচ্ছিলেন। পরে আরেকজন এগিয়ে এসে একজনের হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে আবার পেটাতে শুরু করলেন। ভিডিওতে আরো দেখাচ্ছে, পেটানোর এক পর্যায়ে অনতিদূর থেকে আরেকজন তরুণ এসে প্রৌঢ়কে রক্ষার চেষ্টা করলেন। আক্রমণকারী দল তখন প্রৌঢ়কে ছেড়ে এই তরুণকে পেটাতে শুরু করলেন। পেটাতে পেটাতে তাকে ক্যামেরার আওতার বাইরে নিয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর তারা আবার ফিরে এলেন। এদের একজন ওই প্রৌঢ়কে সম্ভবত ছুরি নিয়ে আঘাত করতে উদ্যত হল। পাশের এক ব্যক্তি তাকে নিষেধ করলেন।
জানা গেছে, এ ঘটনার কয়েকদিন পর শামিম হোসেন মোল্লা ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শামীম জোয়ারদারসহ দশজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন মোক্তার আহমেদের ছেলে। পুলিশ শামীম হোসেন মোল্লা ও শামিম জোয়ারদারকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু অচিরেই তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যান।
এদিকে, পিটুনিতে মারাত্মক আহত মোক্তার আহমেদ মিজান পঙ্গু হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নেয়ার পর এখন ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার হাতের অবস্থা খুব খারাপ। সেটি কয়েক জায়গায় ভেঙে গেছে। রড ঢুকে গিয়ে মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়েছে। এর আগে এক দফা অস্ত্রোপচার হয়েছিল। মঙ্গলবার হাতে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার হবে। আর তার ছেলে সুমন আহমেদের দুই পা ভেঙে দিয়েছেন আক্রমণকারীরা। তিনি পঙ্গু হাসপাতালে কয়েক দিন চিকিৎসা শেষে দুই পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় এখন বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
https://www.facebook.com/fj.farhad.7/videos/716243608532593/