নিউজ ডেস্ক : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধনের ফলে হুমকি, চাঁদাবাজিসহ মোবাইলভিত্তিক অপরাধ ব্যাপক হারে কমে গেছে বলে দাবি করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধনের ফলে আইনশৃঙ্খলায় প্রভাব নিয়ে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, ইদানীং মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা দেখেছি কম্পিউটারে কারো নম্বর তৈরি করে স্পুফিং বা কল মাস্কের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে সিম বায়োমেট্রিকের কোনো সম্পর্ক নেই। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের পর গত ৩ মাসে অবৈধ ভিওআইপি ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। স্পুফিং কলটি নিশ্চিত হতে গ্রাহকদের সমাধান দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এর সমাধান হচ্ছে, যিনি এ ধরনের কোনো কল পাবেন, সেই নম্বরে কল করে আসলে কলটি স্পুফিং না বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড করা সিম থেকে এসেছে, তা জানা যাবে। আমরা অনুরোধ করব, কোনো চাঁদাবাজি বা টাকা লেনদেন বা টাকা কেটে নেব, পিন কোড দেন- এ ধরনের কোনো কল পেলে তিনি যদি ওই নম্বরটিতে আবার ফোন করেন তাহলে যিনি অন্যপ্রান্ত থেকে ফোন ধরবেন তিনি বায়োমেট্রিক সিমের মালিক। মাঝের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন যারা ওই নম্বরটি নিয়ে স্পুফিং করেছেন- যেটি কম্পিউটারে জেনারেট করা যায়।
স্পুফিং কল কীভাবে করা যায় তা সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় একটি মোবাইল থেকে একজন সাংবাদিকের নম্বরে কল করা হয়, পরে ওই নম্বরে (স্পুফিং) কল করলে সেটি প্রতিমন্ত্রীর কাছে চলে আসে। স্পুফিংয়ের সঙ্গে বায়োমেট্রিকের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তারানা হালিম বলেন, স্পুফিংয়ের নতুন এই সমস্যাটিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা বিটিআরসির সঙ্গে কাজ করছি।