ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানব পাচারকারী রফিকের খপ্পরে সর্বহারা কয়েকটি পরিবার
শামীম সরকার : নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন চরিলাম গ্রামের ২টি পরিবারের কাছ থেকে গত প্রায় ১ বছর যাবৎ বিদেশে পাঠাবে বলে প্রতারনার মুখে পাসপোট বই সহ প্রায় ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় মানব প্রাচারকারী রফিক । এমনটাই জানালেন শিবপুর ইউনিয়নের আশরাফুল রহমান রাহাত এবং মোঃ আতিক ।
আশরাফুল রহমান রাহাত এ প্রতিবেদককে জানান আমার কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলার কনিকারা দঃ পাড়ার মোঃ খালেক মিয়ার ছেলে রফিক ১ লক্ষ টাকা নেয় তুর্কি পাঠাবে বলে।
তিনি আরো জানান, তুর্কি পাঠাবে বলে আর ও ১ লক্ষ টাকা নিয়ে গত দুই বছর যাবৎ ঘুরাচ্ছে ।কিছুদিন আগে আমাদের তুর্কির ভিসা আসছে বলে আর ও ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরে আমাদেরকে গত ১৪ই জানুয়ারী ২০১৬ ভারত নিয়ে যান।তারপর রফিক আমাদের কে ভারতে একটি আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে তিনি বাংলাদেশে ফিরে যান ।তারপর রফিক বলেন আমি এক সপ্তাহ পর এসে তোমাদের কে তুর্কি নিয়ে যাব।তখন আমরা রফিক ভারতে ফিরে আসার অপেক্ষা রইলাম ।অপেক্ষা করতে করতে প্রায় ১মাস হয়ে গেল রফিক ভারতে আসে ও না এবং ফোন ও রিসিভ করে না।তখন আমারা অনেকটাই হতাশার মধ্যেই পড়ে গেলাম।কারণ আমাদের হাতে পাসপোর্ট ও নাই।রফিক ভারত ত্যাগ করার আগের দিন আমাদের পাসপোর্ট গুলো নিয়ে যান ।তিনি বলেন তোমাদের পাসপোর্ট গুলো তুর্কির ভিসা প্রসেস করার জন্য ভারত অবস্থানরত তুর্কি হাই কমিশন অফিসে জমা দিব।
রফিকের সাথে মোবাইলে কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না (০১৭২৫৬২২২৩৩) বলে জানান আরেক সহ যাত্রী মোঃ আতিক । এদিকে মোঃ আতিক অভিযোগ করেন যে, রফিক আমাকেও ভাল বেতনের আশায় তুর্কি পাঠাবে বলে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে এখন আমি ভারতের আবাসিক হোটেলে দিন-রাত যাপন করছি।
তিনি আরোও জানান যে, বিভিন্ন এলাকায় রফিক পরিচয় দিয়েছেন সে নাকি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জনশক্তি ও কর্মশংস্থান অফিসে চাকুরী করেন।