কুরবানী আল্লাহর পক্ষ থেকে বিষেশ ইবাদত। নেক আমল এর মধ্যে বিশেষ আমল ও বটে। ইবনে মাজা শরীফের এক হাদিসে হযরত আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত আল্লাহর নবী বলেন যে বেক্তি সামর্থ থাকা সত্তে ও কুরবানী করেনা সে যেন ঈদের দিনে আমদের ঈদগাহে না আসে। হযরত যায়েদ ইবনে আকরাম রা.থেকে বর্ণিত তিনি বলেন এবার রাসুল সা. এ সাহাবী গন জিঞ্জাস করলেন হে আল্লাহর রাসুল এই কুরবানী কি ? এতে আমাদের কি কল্যান রয়েছে। নবী জি সা. বল্লেন কুরবানির পশুর প্রত্যেক টি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে। তারা পুনরায় জিঞ্জাস করলেন বকরির পশমেও কি আছে? বকরির পশমেও একটি করে নেকি রয়েছে। এবং তিনি বল্লেন ইহা তোমাদের পিতা ইব্রাহিম আ.এর সুন্নত। করিবানী হচ্ছে অন্তর পরিক্ষার এক বিরাট মাধ্যম । যতে তাকওয়া অর্জন করা যায়।আল্লাহ তালা বলেন ”আল্লাহর নিকট পৌছেনা এর রক্ত মাংস শুধু মাত্র পৌছে তোমাদেও তাকওয়া.অন্তরটি। যে কুরবানীর সাথে তাকওয়া, আবেগ, অনভূতি নেই , আল্লাহর দৃষ্টিতে সে কুরবানীর কোন মূল্য নেই। তাই কোরবানীর ফজিলত হাসিল করতে হলে প্রয়োজন ঐ আবেগ অনুভূতি,প্রেম ভালবাসা ও ঐকান্তিকতা যানিয়ে কুরবানী করে ছিলেন আল্লাহর খলিল হযরত ইব্রাহিম আ.স্বীয় পুত্র ঈসমাইল আ.কে।
কেবল মাত্র গোশত , রক্তের নাম কুরবানী নয় ? আল্লাহের রাহে নিজের সবর্স্ব বিলিয়ে দিয়ে দৃপ্ত শপথের নাম হচ্ছে কুরবানী। প্রকৃত পক্ষে কুরবানী দাতা কেবল পশুর গলায় ছুরি চালায়না, বরং সে ছুরি চালায় যা নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা যে সব পশু সুলভ আচরন হচ্ছে সে সকল প্রকার প্রবৃত্তির উপর। আর আল্লাহর প্রেমে পাগল পারা হয়ে যায়।এটই হচ্ছে কুরবানীর মূল উদ্দ্যেশ্য। এর বিপরিতে কুরবানী করা ইব্রাহিমের সুন্নত নয়। তা হচ্ছে প্রথা মাত্র।এতে শুধু গোশতের ছড়াছড়ি হয় বটে,কিন্তু কোরবানীর উদ্দ্যেশ্য হাছিল হয় না। কোরআনে বলা হয়েছে ”অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কুরবানী কবুল করে থাকেন ”।
যাদের উপর কোরবানী ওয়াজিব—–
আকিল ,বালিগ ,মুকিম,মোসাফিরনয় এমন লোক ১০ই জিলহ্েজ্জর ফজর হইতে ১২ ই জিলহজ্জের সন্ধা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নিসাব পরিমান মালের মালিক হয়ে যায়, তাহলে ঐ অব¯থায় তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। মোসাফির ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। কোন মহিলা নিসাব পরিমান মালের মালিক হলে তার উপর কোরবানী ওয়জিব।একাদিক কুরবানী ওয়াজিব নয় । যদিও সে অধিক সম্পদের মালিক হউক না কেন। তবে যদি কেউ একাদিক কুরবানী করে থাকেন তাহলে তিনি অধিক সোয়াবের অধিকারী হবেন । হাওলাত করে কুরবানী করা ভাল নয় । মৃত্য ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করা জায়েজ আছে।এতে সে অনেক সোয়াব লাভ করবে।
কুরবানীর কি কি পশু হওয়অ উছিত, তার হুকুম কি ?
কুরবানী ৬ প্রকার পশু হবে, উঠ ,গরু ,মহিষ , ছাগল , ভেরা , দুম্বা ,
এই সমস্ত পশু ব্যতিত কুরবানী হবে না। ছাগল , ভেরা , দু¤বা পূর্ণ এক বছর বয়স হতে হবে। আরযদি ৬ মাসে পশুকে এক বছরের মত দেখা যায় তাহলে কুরবানী দেওয়া যাবে।,গরু ,মহিষ , উঠ ২বছর হতে হবে। গরু ,মহিষ , উঠ এই তিন প্রকার পশুর মধ্যে সাতটি নাম দেওয়া যাবে। অন্য গুলুতে একটি করে নাম দেয়াযাবে। কুুরবানীর পশুর চামড়া নিকট আত্বিয় দের যদি গরিব হয়,যাকাত ফিতরা র মাল খাওয়ার উপযুক্ত হয় তাহলে তাদেও কে দেওয়া উত্তম। অথবা মাদরাসার ,এতিম খানার, গরিব ফান্ডে দান করা যায়।
(লেখক প্রিন্সিপাল. হযরাত খাদিজাতুলস কুবরা ইসলামিয়া বালিকা মাদরাসা,আফতাব নগর সুনামগঞ্জ।)