৯ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের তলদেশে যে শক্তি জমা হচ্ছে তা যেকোন সময় একটি বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেজ্ঞরা। আর এর ফলে এ অঞ্চলের ১৪ কোটি মানুষ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবদনে সম্প্রতি এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপটির নিচে যে দুটি টেকটনিক প্লেট আছে এবং টেকটনিক প্লেট দুটির মাঝে যে ফল্ট লাইন আছে তা থেকে সৃষ্ট ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক বন্যা ও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষকে এই নদীর উপর নির্ভর করতে হয়।
গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, যেহেতু এখানে গত ৪০০ বছর ধরে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে ফলে তা যেকোন সময় রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার মতো শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প তৈরি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন ভূপদার্থবিদ ভারতীয় উপমহাদেশের নিচে একটি অঞ্চল চিহ্নিত করেছেন, যেখানে একটি টেকটনিক প্লেট অন্য এটি প্লেটের উপর ক্রমশ চেপে বসছে। এ ধরনের অঞ্চলকে বিজ্ঞানীরা সাবডাকশন জোন বলছেন।
২০০৪ সালের প্রলয়ঙ্কারী সুনামি ও ২০১১ সালে জাপানের ভূমিকম্পেও এই একই ধরনের সাবডাকশন জোনের ভূমিকা ছিল। ২০১১ সালে জাপানের ভূমিকম্পের ফলে দেশটির ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র বিধ্বস্ত হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা এই ফল্ট লাইনের বিষয়ে আগে থেকেই জানলেও এটিকে কম গভরীতায় মনে করা হতো এবং ধারণা করা হতো এর ফলে ভূমিকম্প ফলে তা তুলনামূলক কম ক্ষতির কারণ হবে।
তবে সাম্প্রতিক সাবডকশন জোনের আবিষ্কার এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, টেকটনিক প্লেটের একটি অংশ সরতে পারছে না। তার তার উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্ববিদ মাইকেল মাইকেল স্টেকলার বলছেন, আমাদের অনেক দিন ধরেই এমন একটা সন্দেহ ছিল, কিন্তু এতদিন সেটি প্রমাণে পর্যাপ্ত তথ্য ও মডেল ছিল না।
তিনি আরো বলেছেন, আমরা বলতে পারবো না কবে ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। এটি আরো ৫শ বছরও সময় নিতে পারে। তবে আমরা নিশ্চিত একটি ভূমিকম্প আসছে।
jagonews24.com