একটি জিনকে অকার্যকর করুন, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে ৫০ শতাংশ
---
জার্মানির এক দল গবেষক জানান, মানবদেহের বিশেষ একটি জিনের কার্যকারিতা বন্ধ করতে পারলেই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ কমে যাবে। করোনারি ডিজিস প্রতিরোধে জেনেটিক মিউটেশন বহু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের গবেষক হেরিবার্ট শনকার্ট জানান, হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে যুক্ত জিন আবিষ্কার হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। ভবিষ্যতে হৃদযন্ত্রের যত্নে নতুন উপায় ও কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করা সম্ভব হবে। এএনজিপিটিএল৪ (অ্যানজিওপোইটিন-লাইক ৪) নামের জিন হৃদযন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। করোনারি ডিজিস এবং জিন মিউটেশনের সম্পর্ক খুঁজতে গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা। হৃদরোগী এবং সুস্থ হৃদযন্ত্রের অধিকারী ২ লাখ মানুষের ১৩ হাজার জিনের ওপর গবেষণা চালান তারা।
মিউটেটেড অ্যানজিওপোইটিন-লাইক৪ জিন রক্তে ট্রাইগ্লাইসেরাইডের মাত্রা দারুণভাবে কমিয়ে দেয়। ট্রাইগ্লাইসেরাইড এক ধরনের রক্তের ফ্যাট যা শক্তি হিসাবে সঞ্চিত হয়। ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধি করে যা হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করতে থাকে। এসব তথ্য দেন ইউনিভার্সিটি অব ল্যুবেকের গবেষক জেনেটি এর্ডম্যান। তিনি আরো জানান, মিউটেশনের মাধ্যমে ওই বিশেষ জিনটির কার্যকারিতা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে রক্তে ট্রাইগ্লাইসেরাইডের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে। এমনকি মানবদেহে ওই জিনটি না থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না। এই জিনটিকে নিষ্ক্রিয়া করা বা এলপিএল এনজাইম গ্রহণের মাধ্যমে করোনারি ডিজিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।
কাজেই মানুষের এএনজিপিটিএল৪ নামের জিনটির কারসাজি বন্ধ করে হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগের নানা ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসা যায়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস