বুধবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

হিটলারের স্বাভাবিক কণ্ঠের একমাত্র রেকর্ড

অ্যাডলফ হিটলার মানেই মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। ১৯২৫ সালে তার লিখিত 'মেইন কাম্ফ' বইতে লিখেছেন, আমি জানি যে লেখনী অপেক্ষা মুখের কথায় মানুষকে জয় করা যায়। এই পৃথিবী যে মুহূর্তগুলোর কাছে ঋণী, তা লেখকের কাছে নয় বরং কোনো বাগ্মী মানুষের কাছে।

নাৎসি নেতা হিটলার তার প্রায় ৫ হাজার আইকনিক উক্তির মাধ্যমে মানুষের সমর্থন ধরে রেখেছিলেন। এগুলো তিনি একাধিকবারও বলেছেন। তার বক্তব্য এবং কণ্ঠ নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন তাদের কাছে ফিউরিয়ারের কণ্ঠ জাদু-মন্ত্রে কোনো এক অমোঘ শক্তিতে টেনে ধরে রাখতো শ্রোতাকে। রন রোজেনবার্গের  'এক্সপ্লেইনিং হিটলার' বইয়ে ফ্রেঞ্চ-আমেরিকান উপন্যাসিক জর্জ স্টেইনার হিটলারের কণ্ঠ প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেছেন।

এই দুই লেখক সংগ্রহকৃত হিটলারের কণ্ঠস্বর পরস্পরের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। স্টেইনার বন্ধু রোজেনবার্গকে বলছেন, আমার জন্ম ১৯২৯-এ। আমার স্মৃতিতে রয়েছে, ৩৩ বছর বয়স থেকে কেবল রান্নাঘরে বসে রেডিও-তে হিটলারের কণ্ঠ শুনতাম। তিনি আরো বলেন, তার (হিটলার) কণ্ঠ ছিল জাদুকরী। এটাকে ব্যাখ্যা করা কঠিন। মনে হতো, কণ্ঠের সঙ্গে তার দেহটাও রেডিও থেকে বেরিয়ে আসবে।

মূলত হিটলারের স্বাভাবিক কণ্ঠস্বর এতটা পরিচিত নয়। সবাই তার বক্তব্যের দরাজ কণ্ঠ শুনে অভ্যস্ত।

১৯৪২ সালে এক ফিনিশ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার গোপনে হিটলারের স্বাভাবিক কণ্ঠ রেকর্ড করেন। তখন তিনি ফিনল্যান্ডের ডিফেন্স লিডার কার্ল গুস্তাফ এমিল ম্যানারহেইমের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এটাই তার একমাত্র সাধারণ কথোপকথনের ভয়েস রেকর্ড।