শনিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১৪ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

শচীনের দলকে সিরিজ হারালো ওয়ার্নের দল

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড কতো? ৬ উইকেটে ২৬০ রান। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এই রানকেও পেছনে ফেললো ওয়ার্ন'স ওয়ারিয়র্স। যুক্তরাষ্ট্রের হস্টনে অল স্টার্সের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়ার্নের দল শচীন'স ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৬২ রান তোলে। ৩০ বলে ৭০ রান করেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ কুমার সাঙ্গাকারা। কম যায়নি টেন্ডুলকারের দল। ৮ উইকেটে ২০৫ রান করে তারা। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও জিতলো ওয়ার্নের দল। এই জয় ৫৭ রানের। তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ তে জিতে নিলো ওয়ার্নের দল।
 
কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানদের নির্দয় পিটুনির শিকার হয়েছেন কিংবদন্তি বোলাররা। ওয়ার্নের দল আগ্রাসী ছিল শুরু থেকেই। মাইকেল ভন ও ম্যাথু হেইডেনের ওপেনিং জুটি ৫১ রান এনে দিয়েছে। এরপর ১২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার ফিরেছেন। ভন ২২ বলে করেছেন ৩০, হেইডেনের ব্যাট থেকে ১৫ বলে এসেছে ৩২ রান।

এরপর ৯১ রানের জুটি গড়েছেন জ্যাক ক্যালিস ও সাঙ্গাকারা। প্রতিপক্ষের বোলারদের নিদারুণ চাপে রেখেছেন তারা। মুহূর্তের জন্য দেননি স্বস্তি। শোয়েব, ম্যাকগ্রা, পোলক, মুরালিধরন, সোয়ান, ক্লুসনার, শেবাগের কেউই ঠিক মতো বল ফেলতে পারছিলেন না। বল মানেই চার বা ছয়। ক্যালিস ২৩ বলে করেন ৪৫ রান। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ক্যালিস শেবাগের শিকার হয়ে ফেরার পর সাঙ্গাকারা ও রিকি পন্টিংয়ের মধ্যে হয়েছে ৬৯ রানের জুটি। ১৮তম ওভারে পন্টিং ও সাঙ্গাকারাকে তুলে নেন ক্লুসনার। ৩০ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৭০ রান করেন সাঙ্গাকারা। ১৬ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪১ রান করেন পন্টিং। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস ৬ বলে ১৯ ও জন্টি রোডস ৮ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।  

শচীন'স ব্লাস্টার্সের দলের সবচেয়ে বড় হাইলাইটস শন পোলকের ২২ বলে ৫৫ রান। ১টি চার ও ৭টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ওয়াসিম আকরামকে এক ওভারে টানা তিনটি ছক্কা মেরেছেন পোলক। টেন্ডুলকার দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। গ্রায়েম সোয়ান ২২ ও ল্যান্স ক্লুজনার ২১ রান করেন।

টেন্ডুলকার ও শেবাগের ওপেনিং জুটিতে আসে মাত্র ২০ রান। ১৬ রান করে ফিরে যান শেবাগ। সৌরভ গাঙ্গুলী ও টেন্ডুলকার বেশিক্ষণ জুটি বেধে থাকতে পারেন নি। সৌরভ ১২ রান করে বিদায় নেন। এরপর দর্শকদের বেশ আনন্দ দিয়েছে টেন্ডুলকার ও ব্রায়ান লারার জুটি। তৃতীয় উইকেটে ৩৭ রান করেছেন তারা। ২০ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নেন টেন্ডুলকার। ২১ বলে ১৯ রান করে ফেরেন লারা।

সপ্তম উইকেটে পোলক ও সোয়ান ৬২ রানের জুটি গড়েন ৩.৪ ওভারে। ওটাই টেন্ডুলকারের দলের সর্বোচ্চ। তবে ম্যাচ জেতার জন্য তা যথেষ্ট হয়নি। সাইমন্ডস ৭০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট সাকলাইন মুশতাকের। একটি করে উইকেট পেয়েছেন অজিত আগারকার ও ক্যালিস।