g ১০টি বিখ্যাত এশিয়ান উপন্যাস | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২৫শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

১০টি বিখ্যাত এশিয়ান উপন্যাস

AmaderBrahmanbaria.COM
ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪

---

full_1629664010_1416985350বিনোদন প্রতিবেদক :উপন্যাস পড়তে কার না ভালো লাগে আর যদি আপনি সাহিত্যমনা হয়ে থাকেন তবে তো কথাই নেই। তাছাড়া উপহার পছন্দ করতে আমাদের প্রায়ই বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। আর তাই নিজে পড়তে কিংবা বন্ধুকে উপহার দিতে নিজ মহাদেশের কিছু বিখ্যাত উপন্যাসের তালিকা দেখে নিন। কেননা এশিয়া মহাদেশেও ভাল উপন্যাসের সংখ্যা নেহায়েত কম না।

দ্য ড্রিম অফ দ্য রেড চেম্বার
কাও যুয়েকিন (১৭৯১)
৪০০ এরও বেশি চরিত্র নিয়ে রচিত ধারাবাহিক এই উপন্যাসটি লেখা হয়েছে চীনের উপভাষায়। একটি অভিজাত পরিবারের দুটি অংশের বিয়োগান্তক প্রেমকাহিনী নিয়ে গল্পটি সাজানো হয়েছে। এখানে সামন্ততান্ত্রিক পদ্ধতির দূর্নীতির যে সমালোচনা তুলে ধরা হয়েছে তাতে বিস্মিত হয়েছিলেন মাও সেতুং।

এ ফাইন ব্যালেন্স
রনিন্তো মিস্ট্রি ( ১৯৯৫)
উপন্যাসটির পটভূমিতে রয়েছে ১৯৭০ সালের অশান্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এখানে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর রহস্য জটিলভাবে তুলে ধরা হলেও উপন্যাসের কোথাও তার নামটি ব্যবহৃত হয়নি। সামাজিক প্রেক্ষাপটের দ্রুত পরিবর্তন ঘটিয়ে বিভিন্ন সময়ের ৪টি চরিত্রকে নিয়ে আসা হয়েছে উপন্যাসে।

হার্ট এন্ড ডাস্ট
রুথ প্রাওয়ার ঝাবভালা (১৯৭৫)
হার্ট এন্ড ডাস্ট উপন্যাসটিতে দেখা যায় ১৯২০ সালের ব্রিটিশ রাজার সাথে সৎ দাদীমা ও নিজের জীবনের জড়িয়ে থাকা সত্য উদঘাটনে ভারতে আসে এক নারী। এরপর এগিয়ে চলতে থাকে কাহিনী। এটি একমাত্র উপন্যাস যেটি একই সাথে অস্কার ও বুকার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল।

রাসোমন
রাইউনসুকে আকুতাগাওয়া (১৯১৫)
১৫০টিরও বেশি আধুনিক ছোট গল্পের জনক রাইউনসুকে আকুতাগাওয়া। তবে দীর্ঘ উপন্যাস তিনি কখনো লেখেননি। রাসোমন উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাগাজিনে, যখন তার বয়স মাত্র ১৭। মাত্র ১৩ পৃষ্ঠার এই ক্ষুদ্র উপন্যাসে সামুরাই হত্যা ও তার স্ত্রী নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে সাতটি জবানবন্দী তুলে ধরা হয়েছে।

ওয়ান থাউসেন্ড এন্ড ওয়ান নাইটস
লেখকের নাম অজানা (১৭০৬ সালে প্রথম ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়)
এ উপন্যাসে দেখা যায় আলাদিন, আলিবাবা, সিন্দাবাদ ও নানা রহস্যময় প্রাণীর কাব্যিক ও ধাঁধাময় রোমাঞ্চোকর কাহিনীর মধ্য দিয়ে উইলে শেহেরজাদী সুলতানের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে নিজেকে রক্ষা করে। ভয়, প্রেম, অপরাধ ও অলীক কল্পনার মিশ্রণে গঠিত এই উপন্যাসটি তলস্তয় থেকে শুরু করে ডুমাস, রুশদি, কোনান ডয়েল, প্রাউস্ট, লাভক্রাফট প্রমুখ সাহিত্যকদের প্রভাবিত করেছে।

স্প্রিং স্নো
ইওকি মিশিমা (১৯৬৯-৭১)
১৯৭০ সালের নভেম্বরে ধর্মীয়ভাবে নিজেকে উৎসর্গ করার আগে মিশিমা এই তিন পর্বের উপন্যাসটি দিয়ে যান তার প্রকাশককে। বিশের শতকের জাপানের একটি রূপকথা এটি। কাহিনীতে দেখা যায় আইনের একজন ছাত্র কল্পনা করছে তার এক স্কুলবন্ধু পুনর্জন্ম লাভ করছে বারবার। এর মধ্য দিয়ে এগোতে থাকে উপন্যাসের কাহিনী।

অল এবাউট এইচ হ্যাটার
জি ভি দেসানি (১৯৪৮)
ইংরেজ ও ভারতীয় কথ্য শব্দের অসাধারণ সমন্বয়ে ইউরোপিয়ান বণিকের ছেলে ও একজন মালয় নারীর কাহিনী নিয়ে রচিত এই বইটি পরিণত হয়েছে অসাধারণ এক উপন্যাসে।

দ্য উইন্ড আপ বার্ড ক্রনিকাল
হারুকি মুরাকামি (১৯৯৪)
টোকিও শহরতলীতে টোরু ওকাডার বিড়ালটি নিখোঁজ হওয়ার মধ্য দিয়ে এই চরম ধাঁধাময় উপন্যাসটির কাহিনী শুরু হয়। উপন্যাসে তাকে দেখা যায় দুই আধ্যাত্মিক বোনের সাথে কথা বলতে যারা কিনা স্বপ্নে ও বাস্তবে হাজির হয় তার সামনে। তবে কাহিনীর প্লট জটিল হলেও এটি কখন শান্তি অথবা মানবতার বিরুদ্ধে যায়নি।

মিডনাইট চিল্ড্রেন
সালমান রুশদি (১৯৮০)
এই উপন্যাসে জাদুময় বাস্তবতার সাথে পরিচয় হয় ঔপনিবেশিক পরবর্তী উচ্চাকাঙ্খী, রঙিন ও চতুর ভারতের। বুকার অফ বুকারস পুরস্কারে ভূষিত হয় উপন্যাসটি। উপন্যাসে দেখা যায় ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ভারতের স্বাধীনতার প্রাক্কালে জন্ম হয় নায়ক সেলিম সানির। জন্মসূত্রেই অসাধারণ মেধাবী হন তিনি। এগিয়ে চলতে থাকে গল্পের কাহিনী।

গড অফ স্মল থিংস
অরুন্ধতী রায় (১৯৯৭)
ষাট থেকে নব্বই এর দশকে কেরেলায় জাতিপ্রথা, সাম্যবাদ এবং খ্রীষ্টধর্মের বিরুদ্ধে দুই জমজ ভাইয়ের কাহিনী নিয়ে লেখা অসম্ভব আবেগী ও চমৎকার একটি উপন্যাস এটি। এ উপন্যাসটির জন্য বুকার পুরস্কারে ভূষিত হন অরুন্ধতী। উপন্যাসের সূত্র ধরেই পুরস্কার বিজয়ী অভিষেকে অরুন্ধতী লেখেন ‘পরিবর্তন এক জিনিস’ আর ‘মেনে নেয়া আরেক জিনিস’।