জলপাইয়ের যত গুণ
অনলাইন ডেস্ক : টক জাতীয় ছোট ফল জলপাই। তবে ফলটির স্বাদ যেমনই হোক এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা খাবার হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে শীতকালীন এই ফল। মৌসুম অনুযায়ী, এখন বাজারে সহজেই মিলবে জলপাই। স্বাস্থ্যকর এই ফলটির আচার না বানিয়ে কাঁচা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক জলপাইয়ের গুণাগুণ নিয়ে পুষ্টিবিদরা যা বলছেন –
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
জলপাইয়ে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাই নিয়মিত জলপাইয়ের তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
কালো জলপাই ভিটামিন ই এর বড় উৎস, যা শরীরের অস্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। শুধু তাই নয়, জলপাইতে রয়েছে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাট, যা কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ত্বক ও চুলের যত্ন নেয়
কালো জলপাইয়ের তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। জলপাইয়ের তেল চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এতে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়। জলপাইয়ের ভিটামিন ই ত্বকে মসৃনতা আনে। এছাড়া ত্বকের ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তাও রোধ করে জলপাই।
হাড়ের ক্ষয় কমায়
জলপাইয়ে উপস্থিত মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাটে এন্টি ইনফ্লামেটরি, ভিটামিন ই ও পলিফেনাল উপস্থিত, যা কিনা অ্যাজমা ও বাত-ব্যথাজনিত রোগের হাত থেকে বাঁচায়। বয়সজনিত কারণে অনেকেরই হাড়ের ক্ষয় হয়। এই হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাইয়ের তেল।
পরিপাকে সাহায্য করে
নিয়মিত জলপাই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। খাবার পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই। শুধু তাই নয়, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে হাত থেকেও বাঁচায় এই ফল। জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে, যা বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
আয়রনের বড় উৎস
কালো জলপাই আয়রনের বড় উৎস। রক্তের লোহিত কনিকা অক্সিজেন পরিবহন করে। কিন্তু শরীরে আয়রনের অভাব হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ফলে শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল। জলপাইয়ে উপস্থিত আয়রন শরীরের অ্যানজাইমকে চাঙ্গা রাখে।
দৃষ্টি ভালো রাখে
জলপাইয়ে ভিটামিন এ উপস্থিত। যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ওষুধের কাজ করে জলপাই। এছাড়াও জীবাণুর আক্রমণ, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলো দূর করে এই জলপাই।
সংক্রমণ রোধ করে
নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়। পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায়। এই তেলে চর্বি বা কোলেস্টেরল থাকে না। তাই ওজন কমাতে কার্যকর। যেকোনো কাটা-ছেঁড়া, যা ভালো করতে অবদান রাখে। জ্বর, হাঁচি-কাশি, সর্দি ভালো করার জন্য জলপাই খুবই উপকারী। ফলে সংক্রমণ ও ছোঁয়াচে রোগের কোনো বালাই থাকে না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
জলপাইয়ে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা দেহের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে।