এবিকে দেখতে যাননি চলচ্চিত্রের মানুষগুলো
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’ গানটি দিয়ে নব্বই দশকের শুরুটা মাতিয়েছিলেন প্রয়াত সংগীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। প্রথমবার কোনো সিনেমায় প্লে-ব্যাক করে যে সাড়া তিনি পেয়েছিলেন, তা হয়তো ভুলবে না তা ভক্তকূল। এর পর একে একে করলেন সাগরিকা, এক ঝাঁক পাখি উড়ে আকাশে, স্বামী আর ইস্তিরি বানাইছে কোন মিস্তিরি, এই জগৎ ও সংসারে তুমি এমনও একজনসহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান।
আর যে গানটির কথা না বললেই নয়, তা হলো ‘আম্মাজান’ সিনেমার আম্মাজান গানটি। এই গান শোনেননি হয়ত এমন কোনো শ্রোতা দেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। শহর-বন্দর-গ্রাম, দেশের প্রতিটি কোনায় বেঁজেছে আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠে গাওয়া এই গান।
সিনেমার গানগুলো দিয়ে পরিচিত হয়েছেন সিনেমা তারকাদের সঙ্গে। নিজেও সিনে জগতের তারকা বনেছেন। কিন্তু হয়তো মন রাখতে পারেননি সিনেমার মানুষদের। নয়তো দেশের এমন এক কিংবদন্তি প্রয়াত হয়েছেন, কিন্তু তার জানাজায় আসেননি সিনেমা জগতের কেউ। হাসপাতালে এবিকে শুধুমাত্র ফেরদৌস ও তিশা ছাড়া সিনেমার কেউ গেছেন বলে মনেও হয় না।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শহীদ মিনারে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যখন আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ রাখা হয়, সেখানেও আসেননি চলচ্চিত্রপাড়ার কেউ।
গতকাল হাসপাতালে দেখতে যাননি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠনের নেতাকর্মীরা, পাওয়া যায়নি কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও। আইয়ুব বাচ্চুর মতো একজন কিংবদন্তির প্রয়ানে চলচ্চিত্র প্রাঙ্গনের এমন বিরুপ আচরণে অবাক বাচ্চুর ভ্ক্ত-অনুরাগীরা। হয়েছেন ক্ষুব্দও।
জানা গেছে, চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে এই কিংবদন্তির জানাজায় ফুল দিতে যেতে পারে শিল্পী সমিতি। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মগবাজারে, এবি কিচেনে। সেখান থেকে যাবে চ্যানেল আই অফিসে। আগামী শনিবার চট্টগ্রামে আরেক দফা নামাজে জানাজা শেষে মায়ের কবরেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে বড় তারকা।
কিন্তু কথা থেকে যাবে। কেন হাসপাতাল কিংবা শহীদ মিনারে আইয়ুব বাচ্চুকে দেখতে গেলেন না চলচ্চিত্র জগতের মানুষগুলো? এটা তার প্রতি অবজ্ঞা নয় কী?