এশিয়া কাপের সেরা একাদশে মুশফিক-মোস্তাফিজ
স্পোর্টস ডেস্ক : সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো শিরোপা নিশ্চিত করেছে ভারত। এশিয়া কাপে বেশি কিছু ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
অসাধারণ পারফর্ম করে যাওয়া এই ক্রিকেটাররা জায়গা পেয়েছেন এশিয়া কাপের সেরা একাদশে।
এশিয়া কাপের সেরা একাদশে সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহিম ও কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
বিরাট কোহলির অবর্তমানে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেন রোহিত শর্মা। ভারতীয় এই ওপেনার এশিয়া কাপে সেরা ওপেনার হিসেবে আছেন। তার সংগ্রহ ৫ ম্যাচে ৩১৭ রান।
রোহিত শর্মার পাশাপাশি দাপুটে ব্যাটিং করেছেন শিখর ধাওয়ান। উদ্বোধনীতে এশিয়া কাপে রোহিত-শিখরই সেরা জুটি। শিখর ধাওয়ানে সংগ্রহ ৫ ম্যাচে ৩৪২ রান।
চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে জন্য সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এশিয়া কাপে ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ৫ ম্যাচে ৬০.৪০ গড়ে এক সেঞ্চুরিতে ৩০২ রান করেন মুশফিক।
মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ের জন্য পারফেক্ট পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। এশিয়া কাপে অসাধারণ খেলেছেন ৩৬ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার। ৫ ম্যাচে ৭০.৩৩ গড়ে মালিকের সংগ্রহ ২১১ রান।
এরপর নজর কেড়েছেন আফগানিস্তানের হাশমতউল্লাহ শহীদি। ৫ ম্যাচে ৬৫.৭৫ গড়ে ২৬৩ রান সংগ্রহ করেন আফগান এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
রশিদ খানের নামটা না বললেই নয়। এশিয়া কাপে তিনি ছিলেন ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্কের নাম। ১০ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের সেরা বেলার তিনিই। শুধু বোলিংয়ে নয়, ব্যাটিংয়েও অসাধারণ খেলেছেন এই লেগ স্পিনার।
এশিয়া কাপে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ দলের এ বাঁ-হাতি পেস বোলার ইনজুরি থেকে ফিরে অসাধারণ বোলিং করে নজর কেড়েছেন। এশিয়া ১০ উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় অবস্থানে তিনি।
অলরাউন্ডার হিসেবে দুর্দান্ত খেলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার কেদার যাদব। বিশেষ করে বল হাতে অসাধারণ খেলেছেন তিনি। ৬ ম্যাচে তার শিকার ১০ উইকেট।
অলরাউন্ডার হিসেবে ভালোই খেলেছেন মোহাম্মদ নবি। ৩৩ বছর বয়সী আফগান এ অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে ৫ ম্যাচে ১৩৪ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ভারতের চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করে নজর কেড়ছেন।
বোলিংয়ে বৈচিত্র ছিল যশপ্রীত বুমরার। এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। ৪ ম্যাচে তার শিকার ৮ উইকেট।