ব্লাউজ খুললেও আমি…
বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেলেও পিছু ছাড়েনি বিতর্ক। এখনও সমালোচকদের কড়া কথা শুনতে হয় মারাঠি অভিনেত্রী রাজশ্রী দেশপান্ডেকে। মাঝে মাঝেই বার্তা আসে অভিনেত্রীর ফোনে। ‘আপনি কি পর্নো তারকা?’
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত হেনস্তা করা হচ্ছে অভিনেত্রীকে। বিতর্কের শুরু হয় মাস তিনেক আগে। যা এখনও পিছু ছাড়েনি। সেসময় ভাইরাল হয় ওয়েব সিরিজ স্যাকরেড গেমসের কিছু অংশ।
যেখানে স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের একটি দৃশ্যে প্রয়োজনের খাতিরেই ব্লাউজ খুলতে হয় রাজশ্রীকে। আর সে দৃশ্য পর্নো সাইটগুলোতে ভাইরাল হওয়ার পর কার্যত হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে এই অভিনেত্রীকে। এ দৃশ্য পর্নো সাইটগুলোতে ছড়ানো নিয়ে আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
স্পটবয়কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ভালোবাসার দৃশ্য ছিল। তাই ব্লাউজ খুলেছিলাম। আমি মোটেও পর্নো তারকা নই। ওই দৃশ্যে বাস্তবের সেক্স দেখানো হয়নি। যা দেখানো হয়েছে তাকে বলে ক্যামেরা চিটিং। ব্লাউজ খুললেও আমি পর্নো তারকা না।
অপর এক সাক্ষাৎকারে রাজশ্রী বলেন, ‘ওয়েব সিরিজটিতে যৌন দৃশ্যে অভিনয় করেছি। কিন্তু তারপরই আমি দেখলাম ঠিক ওই ছবিগুলোই হোয়াটস্অ্যাপে ঘুরছে। কোলাজ তৈরি করে লেখা হয়েছে, ‘মঙ্গলসূত্রসহ আবেদনময়ী ভারতীয় অভিনেত্রী’। পর্নো সাইটেও দেওয়া হয়েছে দৃশ্যটি। এরপর থেকেই এমন সব মেসেজ পাচ্ছি, যেখানে বলা হচ্ছে আমি পর্নো তারকা! কিছু কিছু মন্তব্য খুবই বাজে।’
রাজশ্রী আরও জানান, শুটিংয়ের আগে অনুরাগ জানতে চেয়েছিলেন, তিনি এই দৃশ্যে স্বাচ্ছন্দ্য কি না। তার অস্বস্তি থাকলে শুটিং করতেন না পরিচালক। কিন্তু এ ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করতে তাঁর অস্বস্তি ছিল না। এটা তিনি আগেও করেছেন। চিত্রনাট্য পড়ে আশ্বস্ত হয়েছিলেন বলেই যৌন দৃশ্য নিয়ে তার কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু তারপরের এই ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত। পর্নো সাইটে ভিডিও চলে যাওয়ায় ব্যাপারটি আয়ত্তের বাইরে চলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।
স্বামীর সম্পর্কে রাজশ্রী বলেন, ‘এসব দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে আমার স্বামীর কোনো আপত্তি নেই। সে বলে, যদি তুমি মনে করো চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে নগ্ন হতে হবে সেই সিদ্ধান্ত তোমার। তার জন্য আমার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
উল্লেখ্য, ‘স্যাকরেড গেমস’ ওয়েব সিরিজটি শুরু হওয়ার পর থেকেই এটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। নেটফ্লিক্স ও ওয়েব সিরিজের নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ আছে, এই ওয়েব সিরিজে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে অপমান করা হয়েছে।