জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রত্যাখান মিয়ানমারের
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে মিয়ানমার। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশটির শীর্ষ ছয় সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচার হওয়া দরকার।
সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও হুতাই বুধবার বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের কোনো মূল্য নেই। আমরা এসব তথ্য-প্রমাণের সঙ্গে একমত নই এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল যেসব সুপারিশ করেছে তা গ্রহণ করছি না।’
জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘যৌক্তিক’ বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি। ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার না করলেও তিনি মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া বক্তৃতায় বলেছেন, ‘বিশ্ব আর এ কঠিন সত্য এড়িয়ে যেতে পারবে না। সহিংসতার জন্য এই প্রতিবেদনে দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তারা হল বার্মিজ সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনী।’
২০১৬ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে দেশ ছাড়েন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। নিকি হ্যালি জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বাংলাদেশের শিবিরগুলো ঘুরে ঘুরে ১০২৪টি সাক্ষাৎকার নিয়েছে যাদের ৮২ ভাগই রাখাইনে মানুষ হত্যা করতে দেখেছে, অর্ধেকের বেশি রোহিঙ্গা সাক্ষী হয়েছে যৌন সহিংসতার এবং ৪৫ ভাগ রোহিঙ্গা নিজের চোখের সামনেই ধর্ষণ হতে দেখেছে।’
সূত্র: দ্য স্ট্রেইটস টাইমস ও রয়টার্স