বিশ্বকাপের পরও আলোচনায় ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট
স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বকাপ শেষ। এখন যার যার ঘরে ফেরার পালা। অনেক আবেগের বাতাবরণ নিয়ে বিশ্বকাপ এসেছিল। আবার চলে গেলো অনেক স্মৃতি রেখে। ১৪ জুন থেকে শুরু করে ১৫ জুলাই, কত হাসি-আনন্দ বেদনার মহাকাব্য রচিত হয়েছে রাশিয়ার ১২টি ভেন্যুতে। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব দেখালো ফ্রান্স। বিশ্বজয়ের মুকুট এখন ফ্রান্সের মাথায়। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতলো ফরাসিরা।
কোচ দিদিয়ের দেশমের অধীনে একদল তরুণ ফুটবলারের দুর্দান্ত গতির কাছে হার মানলো পুরো বিশ্ব। কাইলিয়ান এমবাপে, আন্তোনিও গ্রিজম্যান, এনগোলা কান্তে, পল পগবা- বিশ্বজয়ের হাসি নিয়েই তবে দেশে ফিরেছে। এরই মধ্যে রাশিয়া বিশ্বকাপ যে স্মৃতি উপহার দিয়েছে, সেগুলোই আগামী চারবছর সঙ্গী হয়ে থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।
চারবছর পর আবারও বিশ্বকাপে দেখা হবে কাতারে। ২০২২ সালে ২২তম বিশ্বকাপের আয়োজক যে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ ছোট্ট দেশ কাতার! রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যত স্মৃতিই উপহার দিক না কেন, বিশ্বকাপের পর এখনও সবচেয়ে বেশি আলোচনায় কিন্তু ক্রোয়েশিয়া এবং প্রান্সের দুই প্রেসিডেন্ট।
ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কলিন্দা গ্রেভার কিতোরোভিচ এবং ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দু’জন ছিলেন রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্যালারির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। যদিও জনপ্রিয়তায় অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন ক্রোয়েশিয়ান প্রেসিডেন্ট কিতোরোভিচ। সৌন্দর্য দিয়েই তিনি মাত করেছেন পুরো রাশিয়া বিশ্বকাপকে। গ্যালারিতে তার সরব উপস্থিতি অবাক করেছে সবাইকে। ফাইনালে তো ক্রোয়েশিয়ার জার্সি পরেই তিনি চলে আসেন মাঠে এবং সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখেন নিজ দলের সমর্থকদের। উৎসাহ দিয়ে যান লুকা মদ্রিচদের।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু গ্যালারিতে কিতোরোভিচ আর ম্যাঁক্রোর রসায়ন ছিল দেখার মতো। দু’জন বসেছিলেনও পাশাপাশি। গ্যালারিতে উপস্থিত হওয়ার পর তাদের দুজনের এক সঙ্গে দর্শকদের দিকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানানো, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের একে অপরকে অভিভাদন জানানো কিংবা ফাইনালের পর মাঠের মধ্যে তৈরি করা বিজয় মঞ্চে উপস্থিত হয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পুরস্কার বিতরণ করার দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য ছিল, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো যখন বিশ্বকাপ ট্রফি বিজয়ী দলের হাতে তুলে দিতে যাবেন তার আগে একসঙ্গে সেই ট্রফিতে চুমু খেলেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এবং কিতোরোভিচ। এছাড়াও দু’জনের একসঙ্গে থাকা কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
টুইটার ব্যাবহারকারীরা তো এমনও বলতে শুরু করে দিয়েছে, ক্রোয়েশিয়া কি তবে বিশ্বকাপের সঙ্গে তাদের প্রেসিডেন্টকেও হারাতে শুরু করেছে? একজন লিখেছেন, ‘আমার দেখা রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা জুটি হচ্ছে ফ্রান্স এবং ক্রোয়েশিয়া প্রেসিডেন্ট।’