কালো জার্সিতে মেসিরা কি আনলাকি?
স্পোর্টস ডেস্ক : পরিচিত নীল-সাদা জার্সির পরিবর্তে কালো জার্সিতে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। তবে জার্সিটা অবশ্য তাদের কাছে ‘আনলাকি’ বললেও বোধহয় খুব একটা ভুল হবে না৷ কারণ দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা হাফ-টাইমের আগেই খান তিনেক গোল হজম করতে পারত বিশ্বকাপে হাতেখড়ি হওয়া আইসল্যান্ডের কাছে৷ প্রথমার্ধে ফিফা ব়্যাংকিংয়ে তাদের থেকে ১৭ ধাপ পিছিয়ে থাকা দলের কাছে এক গোল হজমও করে ফেলে আর্জেন্টিনা৷
ফ্যানাদের ক্ষেত্রে সব সময়েই জার্সি একটা বড় বিষয়। দেশের পরিচিতিই হয়ে যায় জার্সি দিয়ে। কিন্তু নিজেদের পরিচিত জার্সি বাদ দিয়ে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামতে হল মেসি-মাসচেরানোদের৷ দেখে মনে হয়নি আর্জেন্টিনা খেলছে৷ বরং আইসল্যান্ডকেই আর্জেন্টিনা বলে ভুল হয়ে যাচ্ছে৷ প্রথম ম্যাচেই সেই আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে থেমে গেল আর্জেন্টিনা৷
ফুটবল মাঠে নীল-সাদা রঙ মানেই আর্জেন্টিনা। কিন্তু মস্কোয় যখন মেসি, ডি মারিয়া, মাসচেরানোরা মাঠে নামলেন তখন বোঝা দায় কোন জার্সি পরে নেমেছেন তারা। গাঢ় কালো রঙের জার্সি ও প্যান্ট একেবারেই অপরিচিত। তবু সেই জার্সি গায়েই নামতে হয়েছে মেসিদের। বরং আইসল্যান্ডের জার্সিতেও রয়েছে নীল-সাদার ছোঁয়া।
মেসিদের হোম কিটে ছিল পুরনো মেজাজ৷ নীল-সাদা ট্র্যাডিশানাল জার্সি৷ অন্যদিকে অ্যাওয়ে জার্সি এবার হয়ে গেল কালো রঙের৷ জার্সির উপর দিকে রয়েছে নীল রঙের ডোরাকাটা ডিজাইন৷ গতবার ব্রাজিল বিশ্বকাপে ডিপ ব্লু রঙের জার্সি পড়ে ফাইনাল খেলেছিল মেসিরা৷ সেই জার্সি রাশিয়া বিশ্বকাপে বাতিল করেছে মেসি অ্যান্ড কোং৷
ক্লাব ফুটবলে হোম এবং অ্যাওয়ে জার্সির বেশি ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচে হোম ও অ্যাওয়ে জার্সি থাকলেও তুলনামূলক ব্যবহার কম। যদি বিপক্ষের জার্সির রঙ প্রায় এক হয়ে যায় তখন পরিবর্তন করা হয়। যেমন ব্রাজিলকে একবার নীল জার্সি ও সাদা প্যান্ট পরে খেলতে দেখা গিয়েছিল৷ ২০০২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই জার্সিতে মাঠে নেমেছিল সাম্বার দেশ৷ জার্মানির পরিচিত সাদা-কালো জার্সি ছাড়াও রয়েছে কালো এবং সবুজ রঙের জার্সি।