‘বঙ্গবন্ধু-১’ নিজ কক্ষপথে পৌঁছতে পারে কাল
নিউজ ডেস্ক : দেশের প্রথম নিজস্ব যোগাযোগ স্যাটেলাইট এখনো লঞ্চ অ্যান্ড ইয়ারলি অরবিট ফেজে (LEOP) রয়েছে। এটি ধীরে ধীরে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে নিজ কক্ষপথ ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। আশা করা হচ্ছে, আগামীকাল মঙ্গলবার তা এই কক্ষপথে পৌঁছবে। এরপর শুরু হবে শেষ পর্ব ইন অরবিট টেস্ট। এতে কমপক্ষে ১৯ দিন সময় লাগতে পারে। এরপর দেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে পূর্ণ যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হবে ‘বঙ্গবন্ধু-১’।
এই স্যাটেলাইট প্রকল্পের পরিচালক মো. মেজবাউজ্জামান গতকাল রবিবার , ‘সাধারণত উৎক্ষেপণের পর এ ধরনের স্যাটেলাইটের নিজস্ব অরবিটাল পজিশনে যেতে ১১ দিনের মতো সময় লাগে। সে হিসাবে আমাদের ধারণা, ২২ মে এটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যাবে। অরবিটাল পজিশনে পৌঁছানোর পর শুরু হবে আইওটি টেস্ট। এতেও ১৯ দিন বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। সব মিলিয়ে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
এদিকে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, বঙ্গবন্ধু-১-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে কম্পানির একজন প্রকৌশলী অবস্থান করছেন। তিনি সেখান থেকে এই স্যাটেলাইট সম্পর্কিত সব তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং তা বাংলাদেশকে জানাচ্ছেন। ওই প্রকৌশলীর কাছ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সব প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিট) ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে স্যাটেলাইটটির সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়। স্যাটেলাইটটি নিয়ে মহাকাশে রওনা হয় যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কম্পানি স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ ব্লক-৫ রকেট। এ স্যাটেলাইটে ২৬ কেইউ ব্যান্ড ও ১৪ সি-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এটি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)। বাংলাদেশ ও আশপাশের এলাকায় সেবা দিতে পারবে এ স্যাটেলাইট। বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগরের জলসীমা এর কেইউ-ব্যান্ডের অধীনে থাকবে। এর সঙ্গে ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ায় সেবা দিতে পারবে। কমপক্ষে ১৫ বছর এর মিশন অব্যাহত থাকবে।