বুধবার, ২৩শে মে, ২০১৮ ইং ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

রমজানে হজের সমান সওয়াব মিলবে যে আমলে

প্রতিবছর মাহে রমজানে বিপুল সংখ্যক মুসলমান উমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যেয়ে থাকেন। রমজানে উমরাহ পালনের রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য ও সওয়াব।  রমজানে উমরাহ পালন করতে উৎসুক দেখা যায় অনেক ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিকে। আসুন, এই উমরাহ পালন সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক,

রমজানে উমরাহ পালন করা হজের সমান সওয়াব; শাওয়াল মাসও উমরাহ করার জন্য উত্তম সময়। তবে হজ ফরজ থাকা অবস্থায় তা আদায়ের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হজ সম্পন্ন না করে বারবার উমরাহ করা অযৌক্তিক; কারণ শত সহস্র উমরাহও হজের সমকক্ষ হবে না।

উমরাহ আরবি শব্দ; উমরাহ এর আভিধানিক অর্থ হলো, ধর্মকর্ম, ইবাদাত, সুখকর, সেবা, স্থিতিশীল, জীবন, মহাপ্রাচীন, স্থাপত্য-স্থাপনা, প্রাপ্তি, অভ্যর্থনা, জিয়ারত বা সফর ও ইচ্ছা। যিনি উমরাহ করেন তাকে ‘মুতামির’ বলা হয়। (লিসানুল আরব)

ইসলামি পরিভাষায় উমরাহ হলো, নির্ধারিত স্থানে নির্দিষ্ট কর্মসম্পাদন করা। উমরাহ এর নির্দিষ্ট কাজকর্ম হলো, ইহরাম, তাওয়াফ ও সাঈ, হলক ও কছর ইত্যাদি। উমরাহ এর নির্ধারিত স্থান হলো, কাবা শরিফ, সাফা-মারওয়া ইত্যাদি। আফাকি তথা দূরবর্তী উমরাহ সম্পাদনকারীর জন্য মদিনা মুনাওয়ারায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা সুন্নত। উমরাহ সম্পাদনের বিশেষ কোনো সময় সুনির্দিষ্ট নেই; তবে হজের সময় ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত ৫ দিন উমরাহ পালন করা বিধেয় নয়; এই পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যে কোনো দিন যে কোনো সময় উমরাহ প্রতিপালন করা যায়। হজের সফরেও উমরাহ করা যায়। একই সফরে একাধিক উমরাহ করতে বাধা নেই। হজের আগেও (হজ না করেও) উমরাহ করা যায় এবং হজের পরও বারবার উমরাহ করা যায়। হজ যেমন জীবনে একবার ফরজ; তেমনি উমরাহ জীবনে অন্তত একবার সুন্নত।

Print Friendly, PDF & Email