বুধবার, ২৩শে মে, ২০১৮ ইং ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ঈদের আগে সড়ক সংস্কার যোগাযোগ মন্ত্রীর বাকোয়াস ছাড়া কিছুই নয় : রিজভী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদের আগেই সারাদেশের সড়ক সংস্কার করা হবে। তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, ঈদের আগে ক্ষমতাসীন লোকজনের পকেট ভারী করতেই এই সংস্কার প্রকল্প। যারা সারা বছর মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে রাখে তারা কোন আরব্য রজনীর দৈত্যকে দিয়ে ঈদের কয়েকদিন আগে সব রাস্তাঘাট মেরামত করে ফেলবেন সেটি কারো উপলব্ধিতে আসে না। এটি যোগাযোগ মন্ত্রীর বাকোয়াস ছাড়া কিছুই নয়।

রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন্তব্য করেন।

রমজানে দেশজুড়ে লোডশেডিং, গ্যাস ও পানির তীব্র সংকটের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, গ্যাস সংকটে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের চুলা জ¦লছে না, ফলে সেহেরী ও ইফতারী তৈরী করতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পানি সংকট। আর এ কারনে মানুষ রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ওজু কিংবা গোসলের পানিও পাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর মুখে তুবড়ী ছোটানো উন্নয়ন সড়ক মহাসড়কের খানাখন্দে লুটোপুটি খাচ্ছে। আওয়ামী সরকার উন্নয়ন প্রতিবন্ধী। এখন এদেশে প্রকৃত উন্নয়ন দুরে থাকা মানুষের ন্যুনতম নাগরিক সেবাটুকুও ধ্বংস হয়ে গেছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির ইশ্তেহার হচ্ছে দেশনেত্রীর মুক্তি, জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেয়া এবং দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। খালেদা জিয়া বিহীন কোন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যাবে না, যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেশনেত্রীকে বন্দী করে ৫ জানুয়ারী মার্কা একতরফা নির্বাচনের খায়েশ আপনাদের আর পূরণ হবে না। জনগণ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আপনাদের সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে।

সারাদেশে বন্দুক যুদ্ধের নামে মারণযজ্ঞ চলছে উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গত তিন দিনে চার জেলায় বিচার বহির্ভূত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে ৭ জন। এই মাসে যেন পোকামাকড়ের মতো বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যার হিড়িক চলছে। গতরাতেও বরিশালে সাদা পোষাকের পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুক যুদ্ধের নামে দু’জন নিহত হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার উদ্বেগ জানালেও তাতে সরকারের টনক নড়ছে না। গত কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের গুম-খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে সেসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে।

তিনি বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে-বর্তমানে দেশে যেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিচার বহির্ভূত হত্যার নামে কিলিং প্র্যাকটিস করছে। সরকারের বিচার বহির্ভূত হত্যার মূল উদ্দেশ্য দেশকে স্থায়ী দু:শাসনের বজ্র আঁটুনিতে বেঁধে ফেলা, আর সেজন্য জনগণকে আতঙ্কিত করে রাখা।

Print Friendly, PDF & Email