সোমবার, ২১শে মে, ২০১৮ ইং ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ৪ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের নিত্যকার বিষফোঁড়া একটি ব্রীজ

বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলতে একটি ভাঙ্গা সেতু মরন ফাঁদ হয়ে কয়েক বছর ধরে এলাকাবাসীকে সমস্যায় ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনগন। সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের মরিচাকান্দি গ্রামের বৌ বাজার হতে কদমতুলি কান্দু শাহ’র মাজারে যেয়ে সংযুক্ত রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান এই ভাঙ্গা সেতুটির। উপজেলার মরিচাকান্দি, তুয়াকান্দি,কদমতুলি,বাখরনগর এই ৪ গ্রামের ৪০ হাজার জনগনকে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গভীর খাদযুক্ত ভাঙ্গা সেতু এবং সেতুর এপ্রোচ রোডটির ভাঙ্গা রাস্তাটি।

জানা গেছে,সেতুটি দীর্ঘ ১০বছর ধরে স্লাব ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। ফলে পাশ্ববর্তি ক ৪টি গ্রামের প্রায় ৩০-৪০হাজার মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
‘ভাঙ্গা ব্রিজ’ নামে খ্যাত সেতুটির স্লাবের মাঝের অংশটা ভেঙ্গে রড বের হয়েছে ও দুই পাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয় জামে মসজিদের ঈমাম কারী আজগার আলী জানান,দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শত শত মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে এই ভাঙ্গা সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।বহু মটর সাইকেল,অটোরিক্সা দূর্ঘটনার কবলে পরছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো আওলাদ হোসেন জানান, গত ৮/১০ বছর আগে তিতাস-মেঘনা নদীর মোহনার প্রবল পানির চাপে ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। এরপর ভাঙ্গতে শুরু করে ব্রীজটি।ব্রীজের যেই দশা,রাস্তারও একই দশা।এ রাস্তা দিয়ে ৪ গ্রামের সাইকেল, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটো, সিএনজি, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশার মানুষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করেন। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে পথচারীসহ ৪ গ্রামে যাতায়ত করা খুবই কষ্টকর হয়েছে।

এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে দরিয়াদৌলত ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম রিপন বলেন,-‘এই ব্রীজটি আমার ইউনিয়নের বিষফোঁড়ার মতো।আমি একাধিক বার এই ব্রীজটি নিয়ে কথা বলেছি।কিন্তু,উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস যদি না করে তবে আমি কি করবো?আমার জানা মতে,২/৩ বছর আগে ব্রীজটির টেন্ডার হয়েছিলো।ঠিকাদার কিছু বিল নিয়ে উধাও হয়ে যায়’।আমি ফের চেষ্টা করবো।’

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,-‘আমি বিষয়টি নিয়ে গতকালই ফেসবুক হতে জানলাম।আমি আজই এলজিইডি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি ঠিক করার জন্য।আজই ব্রীজটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে’।

 

Print Friendly, PDF & Email