সোমবার, ২১শে মে, ২০১৮ ইং ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ফলন ভালো হলেও হতাশায়  কৃষকেরা !

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জের ধানের মোকাম।দেশের যে কয়টি ধানের মোকাম রয়েছে তাঁর মর্ধ্যে অতীত গুরুত্বপূর্ণ মোকাম এটি। আর এবার হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধানের ভাল ফলনে পাল্টে গেছে মোকামের চিত্র। উৎপাদন ভাল হওয়ায় প্রাণচাঞ্চ্যল্য ফিরে এসেছে দেশের অন্যতম ধানের এ মোকামে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর যেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ৫/১০ হাজার মণ ধান আসত।
এবার  বাস্তব চিএ  এরকম হওয়ার কথা থাকলে সে জায়গায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার কারণে এখানে প্রতিদিন ৫০/৬০ হাজার মণ ধান আসছে। তবে জমিতে ধানের উৎপাদন বাড়লেও বিক্রিতে কপাল খুলেনি কৃষকদের। প্রকৃত মূল্য না পাওয়ায় তারা অনেকটাই হতাশা। অন্যদিকে চাল আমদানি বন্ধসহ সরকারি ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির দাবী মিল মালিকদের।
সংশ্লিষ্টরা অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকারীভাবে চালের আমদানি বন্ধ রয়েছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ ধান চালের মোকাম আশুগঞ্জের বিওসি ঘাট এলাকা। প্রতিদিন এখানে কিশোরগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহসহ দেশের হাওরঅঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকরা নৌকা দিয়ে এ মোকামে প্রতিদিনই নিয়ে আসছে নতুন ধান। চলতি মৌসুমে হাজার হাজার মণ নতুন ধান মোকামে আসলেও কৃষকদের দাবী উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেকটাই কমমূল্যে তাদের ধান বিক্রী করতে হচ্ছে। বর্তমানে সেখানে প্রতিমণ ধান ৫শ থেকে ৬শ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। অথচ তাদের উৎপাদন খরচ পড়েছে মণপ্রতি ৭শ টাকার মত। গত সপ্তাহেও প্রতিমণ ধানা তারা ৬৭৫ টাকা বিক্রী করলেও এখন মণপ্রতি ১শ টাকা কমে গেছে। বিরুপ আবহাওয়ার কারণে তারা উৎপাদিত ধান কম মূল্যে বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে।

এছাড়া পাইকারদের দাবী মিলগুলোতে পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকায় মিল মালিকরা এখন ধান ক্রয়ে আগ্রহী নয়। জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের অফিস জানিয়েছেন, বুরো সংগ্রহ অভিযান শুরু হলে ধান বাজারদর বাড়বে। সে সাথে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে প্রয়োজনে সরকারীভাবে ধানক্রয়ের লক্ষমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিতে আনা হবে।

Print Friendly, PDF & Email