শুক্রবার, ১৫ই জুন, ২০১৮ ইং ১লা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

অটোরিক্সার দখলে মহাসড়ক, বাড়ছে দূর্ঘটনা

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মনবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় সড়ক গুলো সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের দখলে। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আশুগঞ্জসহ জাতীয় সড়ক গুলো দিয়ে হরহামেশাই চলছে সিএনজি অটোরিক্সাসহ পাওয়ারটিলা,ট্রাক্টর। এতে এ পথ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন গুলো নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়ছে।

অন্যদিকে, ঘটছে দুর্ঘটনা। সিএনজি চালকরা বলছেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যাবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই তারা মহাসড়ক ব্যবহার করছেন। আর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধ ভাবে চলাচলকারী এসব যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

দেশের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক সিলেট-চট্রগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। আশুগঞ্জ থেকে কুটি ৫৮কিলোমিটার ও বিজয়নগরের চান্দুরা থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত ৪৮কিলোমিটার সড়কে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে।

এ মহাসড়ক দিয়ে অবৈধ ভাবে নিয়মিত চলছে এই সব অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা। তাদের বেপরোয়া চলানোর কারনে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সিএনজি চালকরা সরকারী সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ বছরের পর বছর দখল করে রেখেছে। পরিবহন শ্রমিকরা অভিযোগ করছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ ভাবে চলাচলকারী সিএনজির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।

মহাসড়কে চলাচল কারী যাত্রীরা জানান সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক গুলোতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দেদারসে চলছে। আমাদের অঞ্চলে মহাসড়কে যেসব দুর্ঘটনা ঘটছে তার অধিকাংশই বাস-ট্রাকের মুখোমুখি হচ্ছে এই অটোরিক্সা।

এতে করে প্রায় সময় একাধিক প্রানহানির ঘটনা ঘটছে। কোন কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কে সরকারী নিয়মে চলাচলের নিষেধ থাকলেও সারাক্ষন চলছে সিএনজি অটোরিক্সা, নসিমন, পাওয়ারট্টিলারসহ ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা।

কিসের জোরে তারা এই গাড়ি গুলো চালাচ্ছে। এরকম প্রশ্ন অনেকের মনে তারা করে। স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপদ সড়ক ভ্রমনে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অবৈধ সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এমন প্রত্যাশাই আমাদের। ট্রাক ও বাস ড্রাইভাররা জানান, সিএনজির জন্যই দুর্ঘটনা ঘটছে।

তারা মহাসড়কে আমাদের গাড়ির সামনে দিয়ে ওভারটেক করছে। তাদের কোন মহাসড়কে চলার কোন বৈধ কাগজ পত্র নেই। প্রশাসন কি ভাবে এসব গাড়ি চালাতে দিচ্ছে, তা আমরা জানি না। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন সিএনজি ড্রাইভার জানান, আমাদের ফাঁড়ি কোন সড়ক নেই। তাই মহাসড়ক দিয়েই সিএনজি চালাতে হয়। টোকেনের মাধ্যমে গাড়ি চালাচ্ছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটি হাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসেন সরকার বলেন মহাসড়কের প্রতিনিয়তয় এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। যেখানেই অনিয়ম পাচ্ছি, মামলা দেয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি।

Print Friendly, PDF & Email